শাহারিয়ার খাঁন কৌশিক ঃ
মতলব দক্ষিন উপজেলার নায়নপুর পপুলার হাইস্কুলের ১০ শ্রেনীর ছাত্র মো. হানিফকে (১৪) স্কুেেলর প্রধান শিক্ষক হারুনুর রষিদ তার আফিস রুমে ডেকে নিয়ে বেত্রাঘাট করায় অপমানিত হয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করে। গতকাল রবিবার বিকেল ৪টায় স্কুল সংলগ্ন পাকা ব্রিজের গোড়ায় অচেতন অবস্থায় সহপাঠিরা তাকে পরে থাকতে দেখে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রধমে নারায়নপুর পল্লিমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে রেফার করে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টায় সে মৃত্রুর কোলে ঢলে পরে।
স্কুলছাত্রীর অভিযোগে প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ দুপরের টিফিন আওয়ারে হানিফকে ডেকে নিয়ে বেত দিয়ে বেদম প্রহর করে। শিক্ষকের বেত্রাঘাত ও অপমান সহ্য করতে না পেরে স্কুল থেকে বেরিয়ে গিয়ে কিটনাশক খেয়ে ব্রিজের গোড়ায় রাস্তার উপর পরে থাকে। নিহত হানিফ নায়ের গাঁও কিদেরপুর গ্রামে মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে। ১২বছর পূর্বে হানিফের বাবা মারা যাওয়ায় সংসারে অভাব অনাটনের মধ্যদিয়ে ও সে লেখাপড়া চালিয়ে যায়। মিজান আষ্টম শ্রেনিতে গোল্ডেনে জিপিএ’৫ পায়। এছাড়াও মতলব দক্ষিন উপজেলার জিপিএ’৫ পাওয়া শিক্ষার্থিদের মধ্যে হানিফ ছিলো অন্যতম মেধাবী ছাত্র হানিফের মৃত্যুর সংবাদ শুনে তার বড় বোন শিউলি ও মা রানু বেগম লাশের পাশে কান্নায় আত্মহারা হয়ে পরে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ স্কুলের ছেলে-মেয়েদের সামনে তাকে বেত্রাঘাত করে এবং অফিস কক্ষে আটকে রেখে শাস্তি দেয়। আর এতে করেই হানিফ অপমানিত হয়ে অত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়। এদিকে প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ জানায় স্কুরের ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী মিতুকে হানিফ উত্তেক্ত করতো। মিতু বিদ্যালয়ের শ্রেনী শিক্ষক মোস্তফার কাছে নালিশ করার পর। তাকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। স্কুলের বাইরে গিয়ে হানিফ বিষপান করেছে। এতে আমাদের কোনো দায়বার থাকতে পারেনা।
এদিকে স্কুল ছাত্র হানিফ নিহত হওয়ার ঘটনায় তার পরিবারের লোকজন বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়েরের পস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
চাঁদপুর মডেল থানার এস আই মনিরুল খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।