প্রতিনিধি
ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রাম থেকে আলী গাজী নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর এলাকার বিল্লাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি আলী গাজীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে দেন দরবার শুরু করে। পরে সে দ্রুত গা ঢাকা দেয়।
মামলার এজাহার ও ঘটনার শিকার মাদ্রাসা ছাত্রীর অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বর রাতে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়�য়া মাদ্রাসা ছাত্রী দাদীর ঘরে রাতের খাবার শেষে চাচীর ঘরে যাবার সময় আগ থেকে ওঁৎ পেতে থাকা পাশের বাড়ির পুলিশের সাবেক সদস্য সাঈদ গাজীর ছেলে আলী গাজী (২৫) মুখ চেপে ধরে ছাত্রীটিকে বসতঘরের নিকটবর্তী বাগানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটির ডাক-চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসে। পরে তাকে ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শরীরে মারাত্মক জখমের কারণে শিশুটি বেশ কয়েকদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়।
ঘটনার পর থানায় মামলা দিতে গেলে সেখানে কিছু লোক বাধা দেয়। পরে চাঁদপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। এর প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে বুধবার সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিমউদ্দিন আলী গাজীকে গ্রেফতার করে।
এদিকে গ্রেফতারকৃত আলী গাজীকে ছাড়িয়ে নিতে এলাকায় থানার দালাল বলে পরিচিত বিল্লাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি দেন দরবার করতে শুরু করে। কিন্তু থানার ওসির নির্দেশে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে ধাওয়া দিলে সে দ্রুত গা ঢাকা দেয়।
ঘটনার শিকার শিশুর চাচা নবীর হোসেন জানান, মেয়েটিকে সাত মাসের রেখে তার বড়ভাই খোরশেদ আলম মারা যান। এরপর তার মাও শিশুটিকে ছেড়ে চলে যান। এখন সে দাদীর কাছে থেকে এলাকার একটি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।