গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদ জুমা সিলেটের বিশ্বনাথ বাগিচাবাজারে মিলাদ-কিয়াম নিয়ে বাহাছ অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত সময়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বাগিচাবাজার সংলগ্ন মাঠে জমা হতে থাকেন হাজার হাজার মুসলিম জনতা ও সুন্নীপন্থী আলেম-উলামারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা মিলেনি মিলাদ-কিয়াম বিরোধী আলেমদের। এদিকে নির্ধারিত সময় বিকেল ২টার পূর্বে এসেই উপস্থিত হন সুন্নীপন্থী মোনাজের ইকড়চই আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা ছমির উদ্দিন, ফুলতলী কামিল মাদ্রাসার সাবেক মুহাদ্দিস ও বর্তমান আল ইসলাহ ইসলামী কমপ্লেঙ্ নিউইয়র্কের প্রিন্সিপাল ও আল ইসরাহ মসজিদের খতিব আল্লামা আবু নছর মোঃ কুতুবুজ্জামান, বুরাইয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আল্লামা সিরাজুল ইসলাম ফারুকী, সোবহানীঘাট কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওঃ আবু ছালেহ মোঃ কুতুবুল আলমসহ শত শত আলেম।
দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার এক পর্যায়ে হঠাৎ মঞ্চের দিকে এগিয়ে আসেন সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকী খান ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার। সাবেক এই এমপি বলেন, আমরা সকলে রাসুল (সাঃ) কে আপন প্রাণের চেয়েও বেশি মহব্বত করি। আমরা তাঁর মহব্বতে মিলাদ মাহফিলে কিয়ামের মাধ্যমে সালাম জানাই। আমি গতকাল লন্ডন থেকে ফিরে এ ঘটনা শুনে ব্যথিত হয়েছি। আমার কলিজায় আঘাত লেগেছে। আমরা তাদের (বিরোধীদের) সাধে যোগাযোগ করে এসেছি । তারা তাদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন বলে ঘোষণা করেন।
তাঁর এ বক্তব্যের পর সুন্নী আলেমদের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ আন্জুমানে আল-ইসলাহের মহাসচিব অধ্যক্ষ একেএম মনোওর আলী বলেন, যেহেতু ওহাবীরা সাবেক সাংসদ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় তাদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে তাই আমরা তাদের ক্ষমা করে দিলাম।
সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব,