মিয়ানমার মুসলীম হত্যা বন্ধ না হলে মিয়ানমার অভিমুখে আগামী ১৮ ডিসেম্বর লংমার্চ সহ কঠোর কর্মসূচী
—- প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ্ আল মাদানী
স্টাফ রিপোর্টার:
মিয়ানমারে মুসলীম গনহত্যা বন্ধের দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বিকাল ৩ টায় চাঁদপুর শহরের বাইতুল আমিন শ্বপথচত্বর সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। চাঁদপুর সহ সারাদেশ ছিল প্রতিবাদে উত্তাল। গর্জে উঠেছিল নব্য নারী হিটলার সূচির সরকারি জান্তা ও অহিংস পরম ধর্ম শ্লোগানের আড়ালে থাকা সন্ত্রাসী বৌদ্ধদের মানবতা বিধ্বংসী বর্বর অপকর্মের বিরুদ্ধে মুক্তি, শান্তি, মানবতাবাদী ও ইসলামী জনতা। বিক্ষোভ ও মিছিল চলাকালে গগন বিদারী শ্লোগানে শ্লোগানে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছিল। মিছিলে মিছিলে সয়লাব হয়েছিল পুরা চাঁদপুর শহর, জনস্রোতে পুরা শহর যানজটে পরিনিত হয়েছিল। দেশের সর্বত্র মিছিলের আগে পরে হয়েছে প্রতিবাদ-সমাবেশ।
সমাবেশে ও মিছিলে নেতাকর্মীদের দাবি ছিল মিয়ানমারে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েন করতে হবে। মিয়ানমারের উপর অবরোধ আরোপ করতে হবে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও লেডি হিটলার সূচি’র উপর গণহত্যার অভিযোগ আনতে হবে। সমাবেশে প্র অতিথি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ্ আল মাদানী সাহেবজাদা পীরসাহেব চরমোনাই (রহঃ)।
প্রধান অতিথির তার বক্তব্যে বলেন, আজ সারা বিশ্বে মুসলীমন নিধন চলছে, মিয়ানমারে যে মুসলীম নিধন হচ্ছে তা জাহিলিয়াতেরর যুগ কে হার মানিয়েছে। মিয়ানমার সরকারের পরিচালিত এ হত্যাকান্ড গণহত্যার শামিল। মায়ানমার সরকার দুটি হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে নিরস্ত্র ও নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গুলী বর্ষণ করে
তাদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। মায়ানমারের সরকার দীর্ঘদিন থেকেই রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। গত তিন যুগ আগে মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিতাড়িত করে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করেছিল। তাদের আজ পর্যন্ত মায়ানমার সরকার দেশে ফিরিয়ে নেয়নি। সাম্প্রতিক মায়ানমার সেনাবাহিনীর হামলায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড বন্ধ করতে মায়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই। এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধে এগিয়ে আসার জন্য তিনি জাতিসংঘ ওআইসি এবং সকল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও শান্তিকার্মী বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান। অসহায় রোহিঙ্গা মুসলীমদের বাংলাদেশে আসার জন্য বর্ডার খুলে দিতে হবে। সকল সহোযোগীতায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পাশে থাকবে বলে তিনি জানান। মিয়ানমার মুসলীম হত্যা বন্ধ না হলে পীরসাহেব চরমোনাই ঘোষীত আগামী ১৮ ডিসেম্বর২০১৬ লংমার্চ সফল করার জন্য চাঁদপুরবাসীকে আহবানও জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা নুরুল আমিন এর সভাপতিত্বে এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা প্রচার সম্পাদক মাহবুব ইমরান মাসুম ও ছাত্র যুব বিষয়ক সম্পাদক শাহ্ জামাল গাজী সোহাগের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুরের ঐতিহাসিক জাফরাবাদ হাফিজিয়া দাওয়রা হাদিস মাদ্রাসার প্রধান মুফতী ত্বোহা খান দাঃবাঃ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি জননেতা শেখ মোঃ জয়নাল আবদিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বেলাল হোসাইন, সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ খান বেলাল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওঃ গাজী নাসির উদ্দিন, ইসলামী যুব আন্দোলন চাঁদপুর জেলা আহবায়ক মাওঃ ইয়াসীন রাশেদসানী, ইসলামী আন্দোলন সদর উপজেলা সভাপতি আলহাজ্ব জামিল আহমেদ জাকির, সেক্রেটারি মাওলানা নুরউদ্দিন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ রিয়াজুর রহমান, সাধারন সম্পাদক শেখ রায়হান মুহাম্মদ আকতার, চাঁদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ মহসিন হোসেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মুহাম্মাদ আবুল বাসার প্রমুখ।
পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক মিছিল প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ট এসে দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশ শেষ হয়।