ডাঃ এস.জামান পলাশঃ
পূর“ষদের মতো মহিলাদের মুখে ¯^াভাবিকের চেয়ে বেশি লোম দেখা দিলে তাকে ‘হিরসুটিজম’ বলা হয়। যেকোনো বয়সের মহিলাদের বেলায়ই ব্যাপারটি অত্যš— বিরক্তিকর। সাধারণভাবে মহিলাদের মুখে অতিরিক্ত গোঁফ-দাড়ি হওয়াকে কোনো না কোনো রোগের ল¶ণ বলে ধরে নেয়া হয়। তবে অনেক সময় কোনো রোগ ছাড়াও কোনো কোনো মহিলার মুখে সামান্য লোম থাকতে পারে। বংশগত কারণেই এ রকম বেশি হয়ে থাকে। লোমের পরিমাণ অথবা প্রকৃতি বিভিন্ন জনের ¶েত্রে বিভিন্ন রকম হতে পারে। ধরে নেয়া হয় যে, মহিলাদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেন নামক হরমোনের আধিক্যই এ রোগের কারণ। এই অ্যন্ড্রোজেন মূলত পূর“ষদের দেহে বিদ্যমান একটি হরমোন। তবে মহিলাদের শরীরের এই হরমোনটি অল্পমাত্রায় বিদ্যমান থাকে। কোনো কারণে যদি এই হরমোনের মাত্রা মহিলাদের শরীরে বেড়ে যায়, তাহলে মহিলাদের শরীরে এ রকম অতিরিক্ত মাত্রায় গোঁফদাড়ি গজাতে থাকে। তা ছাড়া শরীরে অ্যান্ড্রোজেন জাতীয় হরমোনের কার্য¶মতাকে কমিয়ে দিতে পারে বা বিরত রাখতে পারে, এমন প্রোটিন জাতীয় পদার্থের ¯^ল্পতার কারণেও এ রকম অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এই প্রোটিনটির সঠিক মাত্রা আমাদের দেশে খুব সহজেই ল্যাবরেটরিতে নির্ণয় করা যায়।
মানুষের মুখমÊল হলো অনাবৃত অংশ, তাই এ রকম হলে খুব সহজেই সবার দৃষ্টি সে দিকে পড়বে। নারী তার মুখের সৌন্দর্য সম্পর্কে যারপরনাই সচেতন। কাজেই এ রকম একটি বিব্রতকর গোঁফ-দাড়ি নারীর মুখে গজানো মাত্রই কোনো উপসর্গ থাকুক বা না থাকুক, তারা ডাক্তারের কাছে ছুটে আসবে। তবে শুনতে যত সহজ হোক না কেন, এর প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা ততটা সহজ ব্যাপার নয়, বরং বেশ জটিল। মানুষের শরীরে অনেক গ্রন্থি থাকলেও এর জন্য মূলত দু’টি গ্রন্থিকেই দায়ী করা হয়। তার একটি হলো অ্যাডরিনাল গ্রন্থি’, যা কিনা কিডনির উপরিভাগে অবস্থিত থাকে। আর একটি হলো নারীর দেহের ডিম্বাশয় বা ওভারি। এই দু’টি গ্রন্থির কোনো রোগের কারণেই সাধারণত এ রকম অতিরিক্ত লোম গজিয়ে থাকে। কাজেই অবিবাহিত মহিলাদের এমনটি হলে তার মাসিকের অনিয়মিত অবস্থাও এর সাথে বিদ্যমান থাকতে পারে। কাজেই ডিম্বাশয়ের অন্য কোনো রোগের সাথে সম্পর্কিত থাকে কি না তা-ও খুঁজে দেখতে হবে। আর বিবাহিত হলে অনিয়মিত মাসিকের সাথে সš—ান হওয়া বা না হওয়ার সম্পর্ক জড়িত। কাজেই সে বিষয়টি খুব ভালো করে বিশে¬ষণ করতে হবে।
আগেই বলেছি, অ্যাডরিনাল গ্রন্থির রোগ অন্যতম কারণ। সে কারণে এর সাথে সংশি¬ষ্ট অনেক হরমোনের পরী¶া-নিরী¶া করে নিশ্চিত হতে হয় এবং সেই মতো চিকিৎসা ব্যবস্থা চালাতে হয়। বর্তমানে বিভিন্ন রকম ওষুধ বাজারে এসেছে, যার সম্পর্কে অতীতে আমাদের ধারণা ছিল না। একটি বিষয় পরিষ্কার করে সব রোগীকে জেনে রাখতে হবে, এ সমস্যার চিকিৎসার ¶েত্রে প্রায় সব ধরনের ওষুধই দীর্ঘ দিন ধরে সেবন করতে হয়। আবার অনেক ¶েত্রেই দেখা যায় মুখে অবাঞ্ছিত লোম আছে ঠিকই কিš—ু পরী¶া-নিরী¶ায় কিছু পাওয়া যায় না। এ অবস্থায় অপ্রয়োজনীয় লোমকে ইলেকট্রিক মেশিনের সাহায্যে স্থায়ীভাবে নির্মূল করার যে পদ্ধতি, যার নাম ইলেকট্রো ইপিলেশন সেটি করা যেতে পারে। লোমনাশক কিছু লোশনও আছে, যা ব্যবহার করে অবাঞ্ছিত লোম দূর করা যেতে পারে; যদিও এ ধরনের লোশন ব্যবহারে কারো কারো মুখে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, ইলেকট্রো ইপিলেশন পদ্ধতিই হচ্ছে সর্বোত্তম পদ্ধতি যা ঘরে বসে করা অবশ্যই সম্ভব নয়। উন্নত বিশ্বে লেজার ইপিলেশন পদ্ধতি চালু রয়েছে। এগুলো একজন দ¶ অভিজ্ঞ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত¡াবধানে করাতে হয়।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ- অ্যন্ড্রোজেন হরমোন মহিলাদের শরীর থেকে কমিয়ে আনার জন্য হোমিওপ্যাথি খুবই ভালে ঔষধ আছে,যাহা বেশ কিছুদিন যাবত নিয়মিত সেবন করলে মহিলাদের শরীর থেকে অবাঞ্ছিত লোম দুর করা সম্ভব হবে।শুধুমাত্র নিয়মিত ঔষধ সেবন করলেই হবে।
লেখক পরিচিতিঃ- ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর
০১৭১১-৯৪৩৪৩৫