স্টাফ রিপোটার ঃ
আলহাজ¦ প্রফেসর হাফেজ মোঃ বশিরউল্লাহ পাটওয়ারী । একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি । বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক । বর্তমানে তার বয়স প্রায় ৮০ বছর । বাড়ী চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের মৈশাদী গ্রামে পাটওয়ারী বাড়ী । শিক্ষকতার মত মহান পেশায় সারাজীবন কাটিয়েছেন । চাকুরী জীবনের কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ সর্বশেষ পয়ালগাছা বিশ^বিদ্যালয় কলেজে থাকাকালীন ১৯৯৯ সালে কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন । জীবনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেছেন । জীবনের শেষ মুহুর্তে এসে নিজ গ্রামে বাড়ীর সম্মুখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছেন তিনি । এলাকার ছেলে -মেয়েরা যাতে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায় । এলাকা যেন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে উঠে । মা অজুফা খাতুনের নামে উৎসর্গকৃত নির্মাণতব্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪৮ শতাংশ ভূমি দান করেছেন তিনি । উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা অবসরপ্রাপ্ত সচিব মমিনউল্লা পাটওয়ারী বীর প্রতিক । নিজেদের উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠোমো তৈরীর কাজ চলছে । যদিও উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এখনও নামকরন করা হয়নি । এ ব্যাপারে আলহাজ¦ প্রফেসর হাফেজ মোঃ বশিরউল্লাহ পাটওয়ারী বলেন, আমি সারাজীবন সততার সহিত শিক্ষাকতা করেছি । এখন জীবনের শেষ মুহুর্তে এসে নিজ বাড়ীর সামনে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখে যেতে চাই । যাতে এ এলাকার ছেলে-মেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য দূরদূরান্তে যেতে না হয় । মূলত আমি এ প্রতিষ্ঠানের জন্য সম্পত্তির দান করলেও আমার ভাই অবসরপ্রাপ্ত সচিব মমিনউল্লা পাটওয়ারী বীর প্রতিক এবং আমাদের পরিবারের অর্থায়ানে প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো তৈরীর কাজ চলছে । জানা গেছে, আলহাজ¦ প্রফেসর হাফেজ মোঃ বশিরউল্লাহ পাটওয়ারী ১৯৬৩ সালে চাঁদপুর হাসান আলী হাইস্কুল থেকে এস এস সি,১৯৬৫ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার নওয়াব ফয়জুন্নেছা কলেজ থেকে এইচ এস সি ১৯৬৭ সালে চাঁদপুর কলেজ থেকে বিত্র,১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে এম এ এবং ১৯৭৫ সালে চট্রগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এম এ ডিগ্রী লাভ করেন । তিনি কলেজ শিক্ষক হিসেবে ১৯৭১ সালে প্রথমে ১৯৭১ চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহ্তলী জিলানী চিশতী কলেজে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে ১৯৭৮ সাল থেকে কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানাধীন পয়ালগাছা বিশ^বিদ্যালয় কলেজে অত্যন্ত সুনামের সাথে শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেন । তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের আগে পবিত্র কুরআন শরীফ মুখস্ত করেন । তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী,আরবী ও উর্দু ভাষায় লিখতে ,পড়তে ও অনর্গল বলতে পারেন । তিনি এই চারটি ভাষায় নিয়মিত প্রবন্ধ লিখে থাকেন । প্রফেসর হাফেজ মোঃ বশিরউল্লাহ পাটওয়ারী পাঁচ ভাই চার বোনের মধ্যে সবার বড় । তার ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে । বড় ছেলে মোঃ মনিরুজ্জামান মানিক ৬নং মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান, মেজছেলে মোঃ ছাদেকুজ্জামান মামুন বাংলাদেশ বিমান এর ম্যানেজার,ছোট ছেলে মোঃ সুমন পাটওয়ারী বাংলাদেশ বিমান এ কর্মরত , একমাত্র কন্যা বদরুন্নাহার আখিঁ ও জামাতা কামরুল ইসলাম বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার । তার স্ত্রী মমতাজ বেগম মৈশাদী কামিনা বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা (অবঃ ) হিসেবে চাকুরী করেছিলেন । উল্লেখ্য প্রফেসর হাফেজ মোঃ বশিরউল্লাহ পাটওয়ারী শাহতলী গ্রামের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ জিলানী চিশতী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম এ টি আহমেদ হোসেন রুশদীর বড় জামাতা ।