শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বারেকের নেতৃত্বে এক বাড়িতে ২ টি বাল্য বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। দেশে যখন বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সরকার মাঠে নেমেছে সেখানে খোদ ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে রাতের আধারে একের পর এক স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, মৈশাদী ইউনিয়নের পল্লী মঙ্গল হাই স্কুল সংলগ্ন রশিদ বেপারী বাড়ির বাশির বেপারীর মেয়ে পলি আক্তার (১৩) সাথে মহামায়া এলাকার জনৈক যুবকের সাথে গোপনে বিয়ের দিন তারীখ ধার্য হয়। পল্লী মঙ্গল স্কুলের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী পলির বিয়ের বয়স না হওয়ার কারনে এলাকায় জানাজানি হওয়ার আতংকে মেয়ের ইউপি মেম্বার বারেকের স্বরনাপন্ন হয়। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুযোগ সন্ধানী মেম্বার বারেক থানা পুলিশকে ও ইউনোকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার নাম করে মেয়ের বাবার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। শুক্রবার রাত ৯টায় বারেক মেম্বার ও তার সহযোগীদের নিয়ে বেপারী বাড়িতে পাহারাদার বসিয়ে গোপনে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করে। এছাড়া বারেক মেম্বারের নেতৃত্বে ¡গত ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে একই বাড়ির লিটন বেপারীর মেয়ে সানজিদা আক্তার (১৪)-এর সাথে স্থানীয় মুন্সীবাড়ির একাব্বর মুন্সীর ছেলে আলির কাছে বিয়ে দেয়। কিন্তু সানজিদা আক্তারও ৭ম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীতে উত্তির্ন হয় এ বছর। যেখানে সরকার বাল্যবিয়ে রোধে এতো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, সেখানে স্থানীয় এলাকার মেম্বার দেদারছে তার নেতৃত্বে বাল্যবিয়ে দিয়েই যাচ্ছে। ১ মাসের মাঝে একই বাড়িতে রাতের আঁধারে দু’টি বাল্য বিয়ে হয়। একজন মেম্বার হলো জনগণের প্রতিনিধি। মেম্বার সরকারি একজন প্রতিনিধি হয়ে সরকার বিরোধী কাজ কিভাবে করছে, তা নিয়ে এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন মেম্বারের খুঁটির জোর কোথায়? তিনি মেম্বার হয়ে কিভাবে সরকার বিরোধী কাজ করে যাচ্ছেন। পর পর দুটি বাল্য বিবাহের ঘটনায় এলাকাবাসি ক্ষুব্ধ।