রফিকুল ইসলাম বাবু
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন যারা দেশে মাদ্রাসার নাম ভাঙ্গিয়ে ভোট নিয়েছিল তারা একটা মাদ্রসাও বিল্ডিং করেনি। শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের কচুয়া ড. মনসুরউদ্দীন মহিলা কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, একসময় বলা হয়েছিল শেখ হাসিনাকে নৌকায় ভোট দিলে দেশে কোনো মাদ্রাসা থাকবে না। যারা এ কথা বলে ভোট নিয়েছিল তারা একটা মাদ্রাসা বিল্ডিং করেছে দেখাতে পারবে না। আমি সাত বছর ঘুরে বেড়িয়েছি প্রমাণ পাওয়ার জন্য কিন্তু পাইনি। শেখ হাসিনার সরকার ইতোমধ্যে ১ হাজার ৩শ ৩১টি মাদ্রাসার বিল্ডিং তৈরি করেছে। মন্ত্রী আরো বলেন, মাদ্রাসা ও স্কুল এবং ডিগ্রি কলেজ মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন সমান করে দিয়েছি। ৩৫টি মডেল মাদ্রাসা করেছি। আমরা মাদ্রসায় অনার্স কোর্স চালু করে দিয়েছি। যা মাদ্রাসার কোনো আলেম স্বপ্নেও ভাবেন নি। আধুনিক শিক্ষা আমরা চালু করে দিয়েছি। মাদ্রাসা থেকে পড়ে কোরআন হাদিস পড়ে যেমনি আলেম হবে, তেমনি পিজিক্স, ক্যামেস্ট্রে পড়ে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। তিনিও একদিন অফিসার হবে। নাহিদ বলেন, শিক্ষককেও মনে রাখতে হবে তাদের জনগণের শ্রদ্ধা ও আস্থা অর্জন করতে হবে। তুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে নিবেদিত প্রাণ কাজ করতে হবে। এ শিক্ষার্থীরাই আপনাকে সম্মানিত করবে। তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, শিক্ষকদের চেষ্টায় মেয়েরা এগিয়ে যাবে। মেয়ে এবং ছেলেদের যে সমান অধিকার শিক্ষায় সমতা নিয়ে আসার জন্য জাতিসংঘের লক্ষ্য ছিল ২০১৫ সালের মধ্যে। প্রাথমিক স্তরে ছেলে ও মেয়েদের সমতা অর্জন করতে হবে। শুধু বাংলাদেশ-ই নির্ধারিত সময়ের তিন বছর আগে শুধু প্রাথমিক নয় মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সমতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের প্রাথমিকে এখন ৫১জন মেয়ে, মাধ্যমিকে ৫৩জন মেয়ে। তাতে দেখা যাচ্ছে মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। মেয়েরা অনেক ভালো লেখা পড়া করে অনেক শৃংখল। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেনের সভাপত্বি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার প্রমূক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজ অধ্যক্ষ তাপস কুমার দত্ত।