চাঁদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও শহর বিএনপির সভাপতি অ্যাডঃ এ.কে.এম. সলিম উল্যা সেলিম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষিত চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচনে আমার দল বিএনপির সমর্থনে বা মনোনয়নে আমি বা আমরা আদৌ অংশ নেবো কিনা তা জানতে আমি এখন ঢাকায় অবস্থান করছি। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশনেত্রী যেখানে অবরুদ্ধ, আমরা যেখানে মিথ্যা মামলার আসামী, গণতন্ত্রের বাণী যেখানে নীরবে নিভৃতে কাঁদে সেখানে আমি চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে বা অন্যরা বিভিন্ন পদে প্রার্থী হওয়া আদৌ সঠিক হবে কি না সে ব্যাপারে দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করতে আমি ঢাকায় ছুটে এসেছি। পত্রিকায় মেয়র প্রার্থী শফিকুর রহমান ভূঁইয়াকে আমি �বিএনপির কেউ না� বলায় যে প্রতিক্রিয়া জানতে পেরেছি তার প্রেক্ষিতে প্রমাণ সাপেক্ষে বলতে চাই, আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ সঠিক। বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব মোঃ রুহুল কবির রিজভী কর্তৃক ২০১২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত এক পত্রে (সূত্র নং-বিএনপি/বহিষ্কার/৭৭/৭৭/২০১২) জনাব সফিকুর রহমান ভূঁইয়াকে লিখা হয়েছে, �আপনি দলের ভেতরে কোন্দল, সংঘাত এবং বিদ্বেষ সৃষ্টি করে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত আছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিএনপি গঠনতন্ত্রের ৫ (গ) ধারা মোতাবেক নির্দেশক্রমে আপনার প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলের সকল পর্যায়ের পদ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।�
অ্যাডঃ সেলিম বলেন, এটা ঠিক যে, ২০১১ সালে চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফা তফসিল ঘোষণার পর মেয়র পদে সফিক ভূঁইয়াকে একক প্রার্থী ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপর বিএনপির নামে তার আপত্তিকর কর্মকাণ্ডে এক বছরের মাথায় ২০১২ সালে তার বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সে সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা অর্থাৎ দলীয় সকল পদে শফিক ভূঁইয়ার অধিষ্ঠান সাময়িক স্থগিতকরণ এখনও বলবৎ রয়েছে। এমতাবস্থায় শফিক ভূঁইয়া মেয়র প্রার্থী হিসেবে অবশ্যই বিএনপির কেউ না। আশা করি, বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের সকল নেতা-কর্মী এ সংক্রান্ত যাবতীয় বিভ্রান্তি থেকে দূরে থাকবেন এবং চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবেন।