শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে বাংলাদেশ যা অর্জন করেছে, তা আওয়ামীলীগেরই অর্জন। পৃথিবীতে এমন কোন দল নেই, যেই দল ভাষা, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য এত রক্ত দিয়েছে। রক্তের বিনিময়ে আমাদের সকল অর্জন এসেছে।
বুধবার (২৭ জানুয়ারী) বিকেলে চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠে জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশটাকে একটি নতুন স্থানে নিয়ে যেতে চান। সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা দরিদ্র হয় জন্মগ্রহন করেনি। আমাদের সমাজ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কারণে দরিদ্রতার সৃষ্টি হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। আর এ কারণে এ ধরনের সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা নেতা-কর্মীদের মাঝে বন্ধন সৃষ্টির সুযোগ করে দেই। নতুন নেতৃত্বের মাঝে আমাদের সকল কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।
সৈয়দ আশরাফ আরো বলেন, সারাদেশে আমাদের যাওয়া সম্ভব হয় না। চাঁদপুরে ৪০ বছর পরে আমি সম্মেলনের কারণে উপস্থিত হয়েছি। আপনাদের সাথে আমাদের বন্ধন তৈরী করে মিডিয়া। মিডিয়ার কারণে দেশের ১৫ কোটি মানুষ আমাদের অর্জনের কথা জানতে পারে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা সন্ডলীর সদস্য ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর এমপি।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, ডাঃ দীপু মনি এমপি, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বির বীক্রম এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব) এ বিএম তাজুল ইসলাম এমপি। সম্মেলন শেষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নাম ঘোষনা করেন সৈয়দ আশরাফ। চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ সভাপতি ও আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারীকে সাধারন সম্পাদক মনোনীত করে ঘোষনা দেওয়া হয়। এ ঘোষনার ৫ মিনিট পর হঠাৎ সম্মেলন স্থলে ককটেল বিষ্ফোরন ঘটানো এবং ১০/১৫টি চেয়ার ভাংচুর করা হয়। সাথে সাথে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।