মিজান লিটনঃ-
চাঁদপুর শহরের রঘুনাথপুরে মাজার নির্মাণ করতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চাঁদপুরের পুলিশ প্রশাসন। গতকাল বুধবার চাঁদপুর মডেল থানায় এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উভয় পৰের সম্মতিতে এ সিদ্ধানত্দ গৃহীত হয়। বহুল আলোচিত বিষয়টির শানত্দিপূর্ণ নিষ্পত্তি হয়েছে বলে সনত্দোষ প্রকাশ করে সর্বসত্দরের মানুষ।
চাঁদপুর পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ডস্থ রঘুনাথপুর বাজারের পশ্চিম পার্শ্বস্থ একটি বাড়িতে মরহুম লোকমান হোসেন ফকিরের কবরকে মাজার কাঠামোতে রূপদানকে কেন্দ্র করে এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষ, আলেম-ওলামা এবং যুবকদের সাথে মরহুম ফকির লোকমান হোসেনের ভক্ত ও অনুসারীবৃন্দের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এক পর্যায়ে এটি উত্তেজনায় রূপ নেয়। এ নিয়ে চাঁদপুর কণ্ঠে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর পুলিশ প্রশাসন উদ্যোগী হয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং উভয় পৰের লোকজনকে থানায় এসে তাদের যুক্তি উপস্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়। এ অবস্থায় গতকাল বুধবার দুপুরে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব মোর্শেদের অফিস কৰে উভয় পৰের শতাধিক ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আলেম-ওলামা এটিকে ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাদের ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন। অপরদিকে মরহুম লোকমান ফকিরের ভক্তবৃন্দ জানান, লোকমান ফকির একজন আদর্শবান মানুষ এবং ইসলামের একজন সাধক ছিলেন। এজন্য তারা মরহুমের কবরকে পাকা করে সংরৰণের উদ্যোগ নেয়ায় একটি মহল মাজারের কথা বলে ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রানত্দ করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
উভয় পৰের যুক্তি উপস্থাপন শেষে অফিসার ইনচার্জ মাহবুব মোর্শেদ সিদ্ধানত্দ দেন মরহুম ব্যক্তির কবর সংরৰণের জন্য কবর পাকা করা যাবে। তবে কবরে সামিয়ানা টাঙ্গানো যাবে না, মোমবাতি কিংবা আগর বাতি জ্বালানো যাবে না এবং মরহুমের জন্য দোয়া ও মিলাদ পড়ানোর প্রয়োজন হলে স্থানীয় মসজিদে তা করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই উক্ত কবরকে মাজারে রূপ দেয়া যাবে না। এছাড়া শানত্দি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সকলকে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান হতে বিরত থাকারও আহ্বান জানানো হয়।
সভায় চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সিদ্দিকুর রহমান ঢালী, মুফতি সিরাজুল ইসলাম, কাউন্সিলর আঃ মালেক, চাঁন মিয়া মাঝি, জাকির মিয়াজী, শাহজাহান খান, নান্নু মিয়াজীসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।