প্রতিনিধি

চাঁদপুর শহরের কালী বাড়ি ও শপথ চত্বর মোড়ের দীর্ঘ যানজট নিরসনে ও পৌরবাসীর নিরাপদ চলাচলের সুবিধার্থে রেললাইনের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বিকল্প সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হলেও বর্তমানে তা থমকে আছে। এ সড়কটি পৌরসভার অর্থায়নে নির্মাণ করার কথা থাকলেও ব্যয়বহুল হওয়ায় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ এ কাজ করবে। এখন এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে এর ফাইলপত্র আটকে আছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহাম্মেদ এ সড়কটি করার জন্য রেলওয়ের মালিকানাধীন ভূমি অনুমোদন চেয়ে ২০০৬ সালের ২৭ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের জেনারেল ম্যানেজার বরাবর আবেদন করেন। অবশেষে বাংলাদেশ রেলওয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে রেলওয়ের নিজস্ব ভূমির উপর দিয়ে চাঁদপুর কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন বর্তমানে নির্মাণাধীন টাউন হল মার্কেটের পূর্ব দিক থেকে শুরু হয়ে সড়কটি মিলিত হওয়ার কথা নিউ ট্রাক রোডের সাথে।
এ সড়ক নির্মাণে প্রাথমিক পর্যায়ে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছিলো। পরবর্তীতে এর নির্মাণ কাজের ব্যয় আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছিলো পৌর কর্তৃপক্ষ। শহরের যানজট নিরসনে এ বিকল্প সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি পুরাণ আদালত পাড়ায় একটি উন্নত আন্ডারপাস ড্রেনের কাজও শুরু হয়েছিলো। যে ড্রেনটি মিলিত হবে চাঁদপুর শহরের এসবি খালের সাথে। ৩ হাজার ৫শ� ফুট লম্বা এবং ১৮ ফুট প্রস্থের বিকল্প সড়কটি বাংলাদেশ রেলওয়ের মাস্টার প্ল্যানের আওতায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিলো। এটি বাংলাদেশ রেলওয়ের আইন মোতাবেক মাস্টার প্ল্যানে (নং সিইও/এলপি/১০৪৮, তারিখ ১৫/৮/২০২৮) অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্ব কর্তৃক ভূ-বরাদ্দ কমিটি এ মাস্টার প্ল্যানটি অনুমোদন করেছিলো। পরে তা রেলওয়ে মাস্টার প্ল্যান মোতাবেক চাঁদপুর পৌরসভা এটিকে প্রকল্প হিসেবে নিয়ে শতাধিক বছরের পুরানো চাঁদপুর শহরের কালী বাড়ি মোড়ের যানজট হরাসকল্পে বিশাল পরিকল্পনা নেয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছরেও চাঁদপুরবাসীর কাক্সিক্ষত এ বিকল্প সড়কটি বাস্তবায়িত হয়নি। প্রাথমিক পর্যায়ে বিকল্প সড়কটির জন্য ড্রেজার দিয়ে কিছু মাটি ভরাটের কাজ শুরু হলেও এক সময় তাও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দিন দিন যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কালী বাড়ি মোড়ে প্রতিদিন তীব্র যানজট লেগেই থাকে, আর তাতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্কুল-কুলেজ পড়�য়া শিক্ষার্থী ও পথচারীদের, ঘটে অনাকাক্সিক্ষত সড়ক দুর্ঘটনাও। চাঁদপুর পৌরবাসীর দাবি নিরাপদ চলাচলের জন্য রেলওয়ের দক্ষিণ পাশের বিকল্প সড়কটির নির্মাণ কাজ অতি দ্রুত শুরু হোক।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচএম শামছুদ্দোহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, এ কাজটি প্রায় ২ কোটি টাকার। এতো বড় অঙ্কের কাজ এলজিইডি করে থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বিশেষ চিঠির মাধ্যমে এ প্রকল্পটি এখন এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে আছে। তাদের লোকজন এসে দেখেও গেছে। এরপর আর অগ্রগতি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।
