আইসিসির সভা থেকে ফেরার পর সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের কথা শুনে মনে হয়েছিল, ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ৫ নম্বরে উঠে গেছে বাংলাদেশ। শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে বাকি। বিষয়টি যথেষ্ট সাড়াও ফেলে এ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে।
তবে এ ব্যাপারে পরে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম থেকে আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, আইসিসির প্রধান মিডিয়া কর্মকর্তা সামিউল হাসান একটি মেইলে বিষয়টি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে আসলে ব্যাপারটা অন্যরকম!
শুধুমাত্র ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ মৌসুমের সিরিজগুলোর ফল হিসেব করলেই কেবল বাংলাদেশ র্যাঙ্কিংয়ে ৫ নম্বরে থাকে। কিন্তু ওয়ানডে র্যাঙ্কিং হিসেব করা হয় তিন বছর মেয়াদি চক্রে। এই মুহূর্তে ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৫-১৬ মেয়াদের চক্র চলছে। এই পুরো মেয়াদের পরিসংখ্যান হিসাব করে যখন আগামী ২ মে নতুন র্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হবে, সেখানে তাই বাংলাদেশ ৫ নয়, থাকবে ৭ নম্বরেই।
এটা হচ্ছে, কারণ ২০১৩-১৪ মৌসুমে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স পরের দুই মৌসুমের মতো ভালো ছিলো না।
২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণের জন্য ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ মৌসুমের সঙ্গে ২০১৬-১৭ মৌসুমের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেওয়া হবে। কিন্তু ২০১৬-১৭ মৌসুমের কোনো খেলাই যেহেতু এখনো শুরু হয়নি, আপাতত শুধু ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ মৌসুমের পারফরম্যান্স বিচারে বর্তমান র্যাঙ্কিং নিয়েই আলোচনা হয়েছে আইসিসির সভায়। সেই হিসেবে বাংলাদেশ কিন্তু ৫ নম্বরেই আছে। তবে এই ৫ নম্বর শুধু আলোচনার টেবিলেই।
বাস্তবে যখন র্যাঙ্কিং প্রকাশিত হবে, তখন যেহেতু তিন বছরের চক্র পূরণ করতে গিয়ে ২০১৩-১৪ মৌসুমটাকেও হিসেবে নিতে হবে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান হবে ৭-এ।
আগেই জানানো হয়েছে, স্বাগতিক ইংল্যান্ডসহ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭-এ র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা আরও ৭টি দল খেলবে ২০১৯ বিশ্বকাপে। ওই র্যাঙ্কিং হিসেব করা হবে ২০১৬-১৭ মৌসুমের পারফরম্যান্সের শতভাগ পরিসংখ্যানের সঙ্গে ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ মৌসুমের ৫০ ভাগ পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিয়ে। তার মানে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার জন্য আগামী ১৭ মাসের ওয়ানডে পারফরম্যান্সই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে আশার কথা, বাংলাদেশ যেহেতু এই মুহূর্তে ভালো অবস্থানে আছে, সরাসরি খেলার সম্ভাবনাও তাই বেশি।
সূত্র: প্রথম আলো