প্রতিনিধি
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে চলন্ত লঞ্চ থেকে পা ফঁসকে গভীর রাতে নদীতে পড়ে এক ব্যাক্তি এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এ ব্যাপারে ঐ ব্যাক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধাণ ডায়েরী করা হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া থানার উত্তর শিয়ালকাটি গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মৃত মোঃ হানিফ হাওলাদারের ছেলে এমাদুল হাওলাদার (২২), বড় বোন, ছোট ভাই ও স্ত্রীকে নিয়ে ঈদের ছুটি কাটিয়ে গত রোববার দুপুর ২টায় এমভি শাহিদূত লঞ্চ যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পথিমধ্যে আচল লঞ্চ নষ্ট হয়ে গেলে সিকারপুর নামক স্থানে একটি চরে থামালে ঐ লঞ্চের অসংখ্য যাত্রী শাহিদূত লঞ্চে উঠানো হয়। এই যাত্রী উঠানোর ফলে শাহ্দিূত লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী উঠানো হয়। রাত অনুমান দেড়টায় এমাদুল হাওলাদার তার বড়বোন পিয়ারা বেগম লাকী, স্ত্রী হাফসা বেগম ও ছোট ভাই মহিদুল হাওলাদারকে নিচে ঘুমানোর কথা বলে সে কেবিনে তার চাচার কাছে যাবার কথা বলে বিদায় নিয়ে যায়। পরে এমাদুল হাওলাদার লঞ্চের পাশে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে চাঁদপুরের মেঘনা নদিতে রাতের আঁধারে পা ফঁসকে পরে যায়। লঞ্চের অপর দু’ যাত্রী বিষয়টি দেখতে পায়। তখন রাত অনুমান দেড়টা। এমাদুলের বোন পিয়ারা বেগম লাকি, ছোট ভাই মহিদুল হাওলাদার ও স্ত্রী হাফসা বেগম রাত ৩টায় চাঁদপুর বিকল্প লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটে ভিড়লে এমাদুলের সন্ধান করতে থাকে। লঞ্চের কোথাও তারা এমাদুলকে খুঁজে পায়নি। পরবর্তীতে প্রত্যক্ষদর্ষী দু’ লঞ্চ যাত্রী পিয়ারা বেগম লাকিকে জানায়, রাত অনুমান দেড়টায় মেঘনা নদীতে ২০/২২ বছর বয়সি এক ব্যক্তি প্রস্রাব করতে গেলে পা ফঁসকে নদীতে পড়ে গেছে। পিয়ারা বেগম লাকি তার ছোট ভাই এমাদুল হক নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ায় চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে। ডায়েরি নং- ১৮২, তারিখ- ০৪/০৮/২০১৪।
লাকি জানায়, এক বছর পূর্বে নিখোঁজ এমাদুল হক হাফসা বেগমকে বিয়ে করেছে। এমাদুল হক ঢাকায় অটোবাইক চালাতো। ঈদ উপলক্ষে তারা বাড়িতে গিয়েছিল।