দেশের এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানের সহযোগী ফরিদগঞ্জের মাদক সম্রাট লাল বাদশাকে এবার অতিষ্ঠ জনগণই আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। বাদশাকে আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার নারী পুরুষের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফরিদগঞ্জের ১০নং গোবিন্দপুর (উত্তর) ইউনিয়নে পুলিশের সহযোগিতায় লাল বাদশাকে আটক করতে সেই এলাকারই একদল যুবক ঐক্যবদ্ধ হয়ে গত রোববার রাত ১০টায় বাদশার বাড়িতে অবস্থান নেয়। খুনসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামী বাদশাকে ধরতে বাড়ির অদূরেই অবস্থান নেয় ফরিদগঞ্জ থানার ওসি শাহ আলমের নেতৃত্বে এসআই সুমন চন্দ্র দাস ও এসআই সফিকসহ সংগীয় ফোর্স। এক পর্যায়ে ঘুমন্ত অবস্থায় বাদশাকে পাওয়া যায় তার বাড়ির রান্নাঘরে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লাল বাদশা দেঁৗড়ে পালানোর চেষ্টা করে পাশের ডোবাতে ঝাপ দেয়। ওই অবস্থায় তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে এলাকারই যুবকরা। এক পর্যায়ে উত্তম মাধ্যম দিয়ে বাদশাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অত্যন্ত চতুর ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বাদশা সুকৌশলেই পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক বিক্রি করে আসছে। এ ছাড়াও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে বিভিন্ন জায়গা দখল করা ছাড়াও নানাবিধ সন্ত্রাসী ও নারীঘটিত অপকর্মে জড়িত। ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউই প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি শাহআলম বলেন, আটক লাল বাদশার বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় ৪টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। এছাড়া তাকে একটি চুরির নিয়মিত মামলার আসামী হিসেবে গতকাল জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে মাদক ও তার কাছে অস্ত্র আছে কি নেই এ বিষয়ে তথ্য নিতে লাল বাদশাকে ব্যাপক জিঙ্গাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।