শাহায়ারির খান কৌশিক ॥ চাঁদপুর শহরের হাজী মহসিন রোড প্রিমিয়ার হাসপাতালে জেল সুপারের আব্দুল আল মামুনের স্ত্রীর নবজাতক শিশুর শরীরে ডাক্তারের দেওয়া লিবরা ইনপিউশন নকল স্যালাইন শরীরে পুষ করায় হট্টগোল সৃষ্টি হয়। বুধবার দুপুর ১২টায় প্রিমিয়ার হাসপাতালের ফার্মেসি থেকে এই ময়লা যুক্ত নকল স্যালাইন ক্রয় করে নিয়ে নবজাতকের শরীরের পুষ করার সময় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদের নির্দেশে থানার এস.আই মোঃ সেলিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নকল লিবরা ইনপিউশন নকল স্যালাইন জব্দ করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এস.আর সোহাগ পালিয়ে যায়। জানা যায়, চাঁদপুর শহরের হকার্স মার্কেট চুমকী ফ্যাশনের স্বত্ত্বাধিকারী মুজিবুর রহমান দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত লিবরা ইনপিউশন ল্যাসাইনের ডিটিব্রিউটর নিয়ে জেলার বিভিন্ন জায়গায় দোকানে হাসপাতালে বিক্রি করে আসছে। কোম্পানির মনোগ্রাম নকল করে স্যালাইন তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্ররা। গত ১৩-০৯-২০১৫ইং তারিখে চাঁদপুর প্রিমিয়ার হাসপাতালে জেল সুপারের আব্দুল আল মামুনের স্ত্রীকে ভর্তি করানোর পর নবজাতক শিশুর জন্ম হয়। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় বিষেজ্ঞ ডাক্তার সুজিত কুমার কে দেখালে তিনি লিবরা ইনপিউশন স্যালাইন শরীরে পুষ করার জন্য নির্দেশ দেয়। তার কথা মতো প্রিমিয়ার হাসপাতালে ফার্মেসি থেকে স্যালাইনটি ক্রয় করে নার্স তা নবজাতকের শরীরে পুষ করানোর সময় জেল সুপার আব্দুলা আল মানুম স্যালাইনের ভিতরে ময়লা ও শেওয়া দেখতে পায়। পরে নকল স্যালাইনটি পুষ না করিয়ে হাসপাতালের ফামের্সিতে এসে নকল হওয়ার বিষয়টি জানতে চায়। খবর পেয়ে হাসপাতালের অনান্য রোগীর লোকজন ও পথচারীরা ফামের্সির সামনে এসে হট্টগোল শুরু করেন। খবর পেয়ে, এস.আইস মোঃ সেলিম হাসপাতালে গিয়ে নকল ময়লা স্যালাইনটি জব্দ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার আশ্বাস দেয়। এই ব্যাপারে প্রিমিয়ার হাসপাতালের মালিক ডাঃ মোবারক জানায়, এই জাতীয় স্যালাইন ব্যবহার করলে শিশু জড় ও জটিল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিত। লিবরা ইনপিউশন এই লটের স্যালাইনের মাঝে এই প্রথম এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে স্যালাইনের গায়ে শুধু বাংলাদেশ রয়েছে। স্থানের নাম উল্লেখ না থাকায় তা নকল নাকি আসল তা চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না। একটি সূত্র জানায়, দীর্ঘ দিন যাবত নামে বেনামে কিছু কোম্পানী নকল স্যালাইন ও ঔষুধ বাজারে বিক্রি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এই নকল ঔসুধ ব্যবহার করে চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক রোগী ও শিশু অকালে প্রাণ হারিয়েছে। সরকার এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ভাদ্রমান্য আদালতের অভিযান এই সকল ফার্মেসিতে পরিচালনার না করার কারণে এই ধরনের অপরাধ দিন দিন বেড়ে চলচে।
শিরোনাম:
সোমবার , ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ , ১২ মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।