স্টাফ রিপোর্টার
পুরাণবাজারে আরজু ঢালী হত্যার প্রতিবাদে চাঁদপুর জেলা ছাত্রদল একাংশের আংশিক আহ্বানে গতকাল বুধবার জেলায় আংশিক হরতাল পালিত হয়েছে। হরতালের সমর্থনে সকাল ৭টায় চাঁদপুর জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক কাজী মোঃ ইব্রাহিম জুয়েলের নেতৃত্বে শহরে মিছিল বের হয়। মিছিলটি চাঁদপুর সরকারি কলেজের সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা ভাগ হয়ে গিয়ে চাঁদপুর শহরের ১৩টি স্পটে পিকেটিং শুরু করে। এছাড়াও উপজেলার শহরগুলোতে হরতালের সমর্থনে মিছিল ও পিকেটিং হয়েছে। চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়ক, চাঁদপুর-লক্ষীপুর সড়ক, শহরের ঘোষপাড়া, ষোলঘর, চেয়ারম্যান ঘাটা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, মিশন রোড় ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গাছ ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ এবং সিএনজি ও রিক্সা ভাংচুর করে পিকেটাররা। সকাল ৯টায় বাসষ্ট্যান্ড থেকে চেয়ারম্যানঘাট এলকায় ককটেল ও চুনা পটকা বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহর জুড়ে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-১১ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
এদিকে হরতাল চলাকালে সকাল থেকেই বাস, ট্রাকসহ সবধরনের ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট খোলা থাকতে দেখা গেছে। দুপুরের পর থেকে ভারী যানবাহন চলাচল শুরু হয়। সকাল থেকেই চাঁদপুর শহর এবং তার আশপাশের এলাকায় রিক্সা, সিএনজি স্কুটারসহ ছোট ছোট যানবাহন চলতে থাকে। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, ব্যাংক-বীমার কার্যক্রমও স্বাভাবিক ছিলো। হরতালে চলাকালে জেলার বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করতে দেখা যায়। শহরে পিকেটিংকালে পুলিশ ৩ ছাত্রদল কর্মীকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলোঃ ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হোসেন সবুজ, সাজু খান, মোবারক ও সিয়াম মুন্সী। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৩৩ ও ৩৬।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।