শাহরাসত্দিতে গতকাল বুধবার ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচির ২য় দিনে রেললাইন বিচ্ছিন্ন, সস্নিপারে অগ্নিসংযোগ ও সড়ক অবরোধ করেছে জোটের নেতা-কর্মীরা। এ সময় স্টেশনের যাত্রীদের বসার চেয়ার ও টেবিল ভাংচুর করে রেল লাইনে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
গতকাল ভোরে পিকেটাররা মেহের স্টেশন এলাকায় অবস্থান নিয়ে আনত্দঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেসের গতিরোধ করে। তারা অবরোধের পৰে শেস্নাগান দিয়ে সস্নিপারে অগ্নিসংযোগ করে। মেহের স্টেশন মাস্টার মোঃ মোসত্দফা কামাল জানান, শাহরাসত্দির মেহের স্টেশন সিগন্যাল লাইন সাদেকিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন স্থানে রেল লাইনের ফিশ পেস্নট খুলে লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী ৭৩০নং আনত্দঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেসটি এ ঘটনায় প্রায় ২ ঘণ্টা আটকা পড়ে। ভোরে রেল লাইন বিচ্ছিন্ন দেখে স্থানীয় ষাটোর্ধ্ব বয়সী মোঃ তাজুল ইসলাম বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীর লাল পেটিকোট নিয়ে একটি লাঠির মাথায় টানিয়ে ট্রেনটি থামাতে দৌড়াতে থাকেন। তার সাথে যোগ দেন মোঃ মোশারফ হোসেন ও মোঃ ইউসুফ। তারা ট্রেনটি থামাতে সৰম হন। ফলে সৌভাগ্যক্রমে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রৰা পায় চট্টগ্রামগামী মেঘনা এক্সপ্রেস। এ সময় অবরোধকারীরা মেহের রেল স্টেশন ও রেল ক্রসিং এলাকার রেল লাইনের মাঝখানে অগ্নিসংযোগ করে এবং স্টেশনের যাত্রীদের বসার চেয়ার ও টেবিল ভাংচুর করে রেল লাইনের উপর আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এএসপি সার্কেল (হাজীগঞ্জ) মোঃ আবু হানিফ, শাহরাসত্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুজাম্মেল হক মামুন, বিজিবি সদস্য ও চাঁদপুর জিআরপি পুলিশ। এ ঘটনায় চাঁদপুর রেলওয়ে পুলিশ জিআরপি থানায় মামলা করে।
এদিকে অবরোধের পৰে সকাল ১১টায় উপজেলার ঠাকুর বাজারে ১৮ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ সড়ক অবরোধ করে।