প্রতিনিধি
শাহরাস্তিতে বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে জনগণ রাস্তায় নেমেছে। তারা চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার উয়ারুক বাজার এলাকায় অবরোধে অংশ নেয় শত শত গ্রাহক। প্রায় দু’ ঘন্টাব্যাপী অবরোধের কারণে সড়কের উভয় পাশে কয়েক শ’ যানবাহন আটকাপড়ে যাত্রী ভোগান্তি চরমে উঠে। পরে শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দিলে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
অবরোধকারী ও বেশ কজন বাজার ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এই রমজানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঐ এলাকায় প্রায় ১৮ ঘন্টা লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। আবার বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলে গ্রাহকসেবা বলতে কিছুই দেয়া হচ্ছে না। এ সকল ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল সকাল ১১টার দিকে ওয়ারুক বাজার এলাকায় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বলিয়ে সড়ক অবরোধ করে গ্রাহকরা। এ সময় অবরোধকারীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বাজে ভাষায় সস্নোগান দিতে থাকে।
অবরোধের প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আলম, শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আহসান হাবীব অরুণ ও পল্লী বিদ্যুতের শাহরাস্তি জোনাল ডেপুটি ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) দেবাশীষ পাল ঘটনাস্থলে পেঁৗছে অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে বিদ্যুৎ বিতরণ সহনীয় পর্যায়ে রাখার আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। এর পরেই প্রায় দু’ ঘন্টা পরে উক্ত অংশ দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
ওয়ারুক বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে মাত্র ১ থেকে দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎ পেয়েছি। সেতারা মুন্সি বাড়ির আবু তাহের বলেন, গত এক সপ্তাহে আমাদেরকে বিদ্যুৎ দেয় নাই। বিদ্যুৎ হঠাৎ আসে আবার ৬/৭ মিনিট থেকে চলে যায়।
শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল মাসুদ বলেন, বিদ্যুতের লোকজনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কোনো প্রকার লোডশেডিং যেনো না দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, শাহরাস্তিতে বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিউবিশনে পল্লী বিদ্যুতের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তারা ঠিকমতো কাজ করছে না।