মোঃ জামাল হোসেন ॥ শাহরাস্তিতে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করলেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক। আহত ছাত্র বর্তমানে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকাল ১১ ডিসেম্বর বিকেলে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার ওই ছাত্রকে দেখতে স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে যান এবং গঠনাস্থলে পরিদর্শন করেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের বেরনাইয়া গ্রামের মৃতঃ লোকমান হোসেনের পুত্র ও বেরনাইয়া লশকরী হাজী হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ওমর ফারুক (১০) গত ২ মাস পূর্বে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। গত ৮ ডিসেম্বর মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওঃ ফয়জুল্লাহর ব্যবহারকৃত মোবাইলটি চুরি হয়। এতে হুজুর ওমর ফারুককে সন্দেহ করে মাদ্রাসার কক্ষে ঢুকিয়ে হাত পা বেধে বেদম প্রহার করে। প্রায় ১ ঘন্টা যাবৎ ঐ ছাত্রকে আটক করে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে আত্মীয় স্বজন এসে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার আহত ওমর ফারুককে বেরনাইয়া বাজারে অবস্থিত শাহ শরীফ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত শনিবার ১০ ডিসেম্বর সকালে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে সন্ধ্যায় শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার গতকাল ওই ছাত্রকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসনে। তিনি ছাত্রটির খোঁজ খবর নেন এবং মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানায় প্রায় ৮-৯ বছর পূর্বে মাওঃ ফয়েজ উল্লাহ অত্র মাদ্রাসায় যোগদান করেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার নাজির হাটের কাম্মার পাড় এলাকার বড় বাড়ীর মাওঃ ইসহাক মিয়ার পুত্র। ঘটনার পর তিনি মাদ্রাসা থেকে চলে যান। পুলিশ সুপারের পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, কমিউনিটি পুলিশের ইউনিয়ন সম্পাদক ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক, সমাজ সেবক হাবিবুর রহমান, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওঃ নাজির হক। এলাকাবাসী জানায় ১৯৯৮ সালে মাদ্রাসাটির যাত্রা শুরু হয় এবং সুনামের সাথে কোরআন শিক্ষা দিয়ে আসছে। স্থানীয়রা উক্ত ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং মাদ্রাসাটির যেন কোন ক্ষতি না হয়, সে বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।