প্রতিনিধি
শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সামিউল মাসুদের জরুরী হস্তক্ষেপে অবশেষে সড়কের উপর থেকে বেড়া অপসারণ করে জনসাধারণের জন্য চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩ টায় মেহের দক্ষিণ ইউনিয়নের ভোলদিঘী গ্রামের আল-আমিন একাডেমী সংলগ্ন মিয়াজী বাড়ী এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এ সড়কটির উপর দিয়ে ফতেপুর, ভোলদিঘী, মালরা গ্রাম সহ কয়েকটি গ্রামের সর্বস্তরের জনসাধারণ চলাচল করে এবং স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীরা এ সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করে আসছে। গত ১০ এপ্রিল ভোলদিঘী মিয়াজী বাড়ীর মৃত আব্দুস সোবহানের পুত্র প্রভাবশালী ভূমি দস্যু আজমল হক ও একই বাড়ীর মনির হোসেনের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার সীমা সড়কের উপর টিনের বেড়া, সিমেন্টের পিলার ও বাশ কুপে এবং বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বনজ গাছ লাগিয়ে জনসাধারণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে ভোলদিঘী গ্রামের সফিকুর রহমান মাষ্টার গত ১২ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করে একটি লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল ২৫ এপ্রিল সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সামিউল মাসুদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী আজমল হককে ঘটনাস্থলে আসার জন্য বলেন এবং তাৎক্ষণিক উক্ত সড়ক থেকে প্রতিবন্ধকতা বেড়া ও গাছ অপসারণের নির্দেশ দেন। আজমল হক স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সড়কটির উপর থেকে বেড়া ও গাছ অপসারণ করে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। উচ্ছেদ অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন মেহের দক্ষিণ ইউ.পি চেয়ারম্যান সফি আহমেদ মিন্টু, ইউ.পি সদস্য ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ আক্তারুজ্জামান, ডা. সিরাজুল ইসলাম, শামছুদ্দিন আহমেদ, আবুল বাসার, মুজাম্মেল মাষ্টার, মাকসুদুর রহমান টিপু, জাকির হোসেন সুমন, জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল জলিল, নুরুল ইসলাম, এস.আই মহিন উদ্দিন ও সঙ্গীয় ফোর্স।
উল্লেখ্য, ভূমি দস্যু আজমল হক ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট উক্ত সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় স্থানীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উক্ত সড়কটি থেকে প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে দেওয়া হয় এবং ১২ ফুট বিশিষ্ট চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।