মোঃ জামাল হোসেন ॥ শাহরাস্তি পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ৭ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও গণসংযোগের মাধ্যমে নিজেদের পরিচয় ভোটারদের কাছে তুলে ধরছেন। সদ্য সমাপ্ত হওয়া দুর্গা পূজায় মেয়র প্রার্থীরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পৌর এলাকার পূজামন্ডপগুলোতে গিয়ে ভক্ত, সমর্থক, পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও শুভানুধায়ীদের সাথে কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুদান প্রদান করতে দেখা গেছে। সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা কর্মী সমর্থকদের নিয়ে পৌর এলাকার পাড়া মহল্লায়, অলিতে-গলিতে, হাট-বাজার, চায়ের দোকান, যাকে যেখানে পাচ্ছেন তাদের সাথে কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। পাড়া-মহল্লার হাট-বাজার, অফিস পাড়া, সড়ক ও মহাসড়ক সহ অলিতে গলিতে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছবি সম্বলিত রঙ্গিন ব্যানার, ফেস্টুন, পোষ্টার ঝুলিয়ে তাদের পরিচয় তুলে ধরছেন। পৌর নির্বাচনকে ঘিরে সাধারণ ভোটাররা জল্পনা-কল্পনা করতে দেখা গেছে। হাটে-বাজারে, অফিস-আদালত, চায়ের দোকানে ভোটাররা কে প্রার্থী হচ্ছেন, কাকে ভোট দিলে আগামীতে পৌর এলাকার উন্নয়নে নিবেদিতভাবে কাজ করবেন, তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা সহ জল্পনা-কল্পনা করতে দেখা গেছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যারা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তারা হচ্ছেন – চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ মোশারফ হোসেন পাটওয়ারী। বর্তমান মেয়র ও উপজেলা বিএনপি নেতা মোঃ মোস্তফা কামাল। জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির আহবায়ক হাজী আব্দুল লতিফ। উপজেলা বিএনপি নেতা মোঃ ফারুক হোসেন মিয়াজী। শাহরাস্তি পৌর উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির উপদেষ্টা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন। উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ তোফায়েল আহমেদ ইরান। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও তুখোড় ছাত্রনেতা মাহবুবুল আলম চৌধুরী। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আমৃত্যু সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলীর সুযোগ্য সন্তান ও সাবেক ছাত্রনেতা নিয়ামুল করিম পিন্টু।
নির্বাচন কমিশন ঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশের ২৮৫ টি পৌরসভার নির্বাচন আগামী ডিসেম্বর মাসে হওয়ার কথা রয়েছে। সেসাথে শাহরাস্তি পৌরসভার নির্বাচনও হওয়ার কথা রয়েছে। শাহরাস্তি পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার। নির্বাচন কমিশন দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ায় ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেজন্য সর্বশেষ মেয়র পদে চূড়ান্তভাবে কে প্রার্থী থাকেন তা নির্ধারণ হবে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরা সকলেই নিজ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।