স্টাফ রিপোটার ঃ
চাঁদপুর সদর উপজেলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী শাহ্তলী কামিল মাদ্রাসার হাবিবুর রহমান লিল্লøাহ বোডিংয়ে জন্য পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রাপ্ত পশুর (গরু-ছাগল ) চামড়া বিক্রিতে এ বছর ধস নেমেছে । বাজার পড়ে যাওয়ায় বিগত কয়েক বছরের চেয়ে এ বছর চামড়ার মূল্য সর্বনিন্ম পর্যায় নেমে এসেছে । চামড়ার মূল্য সর্বনিন্ম পর্যায় নেমে আসায় এ বছর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ হতাশ হয়ে পড়েছে । তবে বিক্রিতে ধস নামলেও চামড়া প্রাপ্তিতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর অনেকটা সফল । এ বছর মোট প্রাপ্ত ২৪৩ টি গরু ও ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮শত ৭৩ টাকা । এর মধ্যে প্রাপ্ত ১৯১ টি গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ১লাখ ৪৩ হাজার ২শত ৭৩ টাকা । অপরদিকে প্রাপ্ত ৫২টি ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৬শত টাকা । প্রতিটি গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৭৫০টাকা করে । যা বিগত বছরের তুলনায় অর্ধেকের কম । গত ১৪ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর পশুর চামড়া প্রাপ্তি দিক দিয়ে শাহতলী ৭৫টি,হামানকর্দী ৬৮টি,আলগীপাঁচগাঁও ১৭টি, পাইকদী ২০টি, হাফানিয়া ৫টি মৈশাদী ৩টি, ভাটেরগাঁও ১টি,আশিকাটি ১টি ,মমিনপুর ১টি গরুর চামড়া আংশিক ও পুরো পাওয়া গেছে । এ ছাড়া ৫২টি ছাগলের চামড়া উল্লেখিত বিভিন্ন গ্রাম থেকে পাওয়া যায় । এবারেরই প্রথম মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিংয়ে শাহতলী গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক চামড়া পাওয়া গেছে । এ ব্যাপারে মাদ্রাসা গভনির্ং বডির সহসভাপতি ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী জানান,বিগত বছরের চেয়ে এ বছর প্রত্যাশার চেয়েও বেশী চামড়া পেয়েছি । এ জন্য প্রথমেই যারা চামড়া দিয়েছেন সেইসব দানশীল ব্যক্তিদের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি । আর চামড়া বিক্রিতে এ বছর লোকসান না হলেও আশানুরুপ আয় আসবে না । তাই আমি মাদ্রাসার লিল্লাহ বোডিং নিয়ে চিন্তায় আছি । আগামীতে কিভাবে লিল্লাহ বোডিং চলবে । কারণ প্রতি বছর কোরবানীর পশুর চামড়ার আয় থেকেই লিল্লাহ বোডিংয়ে থাকা গরীব অসহায় শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করা হয়ে থাকে । এ বছর উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে লিল্লাহ বোডিংয়ে থাকা শিক্ষার্থীরাও চামড়া সংগ্রহে এ প্রথম গ্রামে গ্রামে চষে বেড়িয়েছে । আশা করছি মাদ্রাসার লিল্লাহ বোডিংয়ের প্রতি এলাকাবাসী ও অভিভাবক মহলের যেই আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে ,আগামীতে তা আমরা কাটিয়ে উঠতে সমর্থ হবো ।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা বিলাল হোসাইন জানান, আমরা খুবই আশাবাদী ছিলাম এ বছর এতদঅঞ্চলের দানকৃত কোরবানীর পশুর চামড়ার আয় দিয়ে লিল্লাহ বোডিং সমৃদ্ধ হবে । এ বছর পশুর চামড়া প্রাপ্তিতে আমরা সফল হলেও বিক্রিতে বাজার পড়ে যাওয়ায় আমরা ভালো মূল্য পাইনি । তবে আয় কম হলেও আমরা হাল ছাড়ছি না । এলাকাবাসী এ মাদ্রাসার প্রতি খুবই আন্তরিক । আশা করছি আগামীতে এ অঞ্চলের মানুষের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে ।