হাসান্জ্জুামান ঃ
চাঁদপুরের শাহ্রাস্তি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টাকার বিনিময়ে বই বিতরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ১ জানুয়ারী সোমবার সকাল ১০ টায় টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের টামটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও টামটা দাখিল মাদ্রাসায় বই উৎসবের দিনে এক হাতে বই আর অন্য হাতে টাকা বিনিময় করেছেন শিক্ষক-অবিভাবকগণ। এছাড়া সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের সূচীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং পৌরসভার পঞ্চগ্রাম আজিজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে অর্থের বিনিময়ে বই বিতরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫/৬ টাকা আদায় করে তাদের হাতে বই তুলে দেন শিক্ষকগণ। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হাবীব উল্লাহ মারুফকে অবহিত করা হলে তিনি উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আহসান উল্লাহকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে ওই সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, ভতি ফি, আর অন্যান্য খরচাধি বাবতে ওই টাকা গ্রহণ করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরও বলেন, এ সময় যদি টাকা গ্রহণ না করি তাহলে পরবর্তিতে অভিভাবকদের কাছ থেকে ওই টাকা গ্রহণ করা মুশকিল।
অভিভাবকরা বলেন, আমাদের সন্তানদের দায়বদ্ধ করে এক রকম জোর পূর্বক টাকা গ্রহণ করেছেন তারা। টাকা না দিলে বই দিবেন না-এমন কথাও বলেছেন শিক্ষকগণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিনা মূল্যে বই বিতরনের নির্দেশ দিলেও শিক্ষকগণ অভিনব কায়দায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন।
শিক্ষার্থী লামিয়া বলে, আমি সপ্তম শ্রেণিতে উঠেছি। টিভির পর্দায় দেখেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিনা মূল্যে বই উৎসবের দিন সকল শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই সুবাদে আমি টাকা ছাড়াই স্কুলে যাই আর দুঃখ ভরাক্রান্ত হৃদয়ে খালি হাতেই বাড়ি ফিরি।
উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ মুঠো ফোনে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ফোন দিয়েছি এবং গৃহিত টাকা ফেরৎ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছে যদি কোনো প্রকার টাকা পেয়ে থাকেন তাহলে বই উৎসবের দিন টাকা না নিয়ে পরে নিতে পারতেন। আজ এভাবে টাকা গ্রহণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আঘাত করেছেন। যা সুষ্ঠ ও সঠিক তদন্ত স্বাপেক্ষে এহেন কর্মকান্ডে লিপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।