মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে গত শুক্রবার বিকেলে ফরাজীকান্দি দরবার শরীফের মরহুম পীর আল্লামা শায়খ সায়্যিদ মানযূর আহমদ আল অহমদী উয়েসী রিফায়ী (র:) এর স্মরণে ইউপি কমপেক্স প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় ইউনিয়ন পরিষদ পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দানেশ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- চাঁদপুর জেলা আ’লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও চরকালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মঞ্জুর আহমদ মঞ্জু।
ফার“ক আহমদ এর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- ওয়েসিয়ান নুরুজ্জামান, জেলা যুবলীগের সাহিত্য ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক গাজী শাখাওয়াত হোসেন, পূবালী ব্যাংক লিঃ আশুগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মহসিন সরকার, চরকালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবদুল গণি তপাদার, সমাজসেবক এনায়েত আলী মিঝি, দেলোয়ার হোসেন, চরকালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবদুস সালাম খোকা প্রমূখ।
ইফতার মাহফিলের পূর্বে দু’আ পরিচালনা করেন- মাওলানা মুহাদ্দিস মুহাম্মদ সিরাজ-উদ-দৌলা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা আ’লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও চরকালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মঞ্জুর আহমদ মঞ্জু বলেন, ফরাজীকান্দি দরবার শরীফের মরহুম পীর আলামা শায়খ সায়্যিদ মানযূর আহমদ আল অহমদী উয়েসী রিফায়ী (র:) ছিলেন এ এলাকার মানুষের প্রিয়। তাঁর জীবনাদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে জীবন গড়তে পারলে দুনিয়া ও আখেরাতে সফল কাম। তাঁর ওফাতের পর যিনি বর্তমান পীর হয়েছেন তাঁর সম্পর্কেও আমাদের কোন দ্বিমত নেই। তবে যারা ফরাজীকান্দি দরবার শরীফকে পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করছেন তাদের হুশিয়ার করে বলে দিতে চাই, ফরাজীকান্দি দরবার শরীফ কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। এটা আমাদের সকলের, এর রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রত্যেকের ঈমানী দায়িত্ব। যারা দরবার শরীফকে ব্যবহার করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে তাদের এ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হচ্ছে। অন্যথায় আমরা তাদের বির“দ্ধে র“খে দাড়াবো।
তিনি আরো বলেন, ফরাজীকান্দি এতিমখানায় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এতিম শিশুরা এসে খাওয়া-দাওয়াসহ লেখা-পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। এ কাজ অব্যাহত রাখতে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। দরবার শরীফের উন্নয়নে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। সুষ্ঠু-সুন্দর ভাবে দরবার শরীফের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হতে স্থাণীয় লোকজনকে সম্পৃক্ত করে কমিটি গঠন করলে স্থানীয় পর্যায়ের লোকজন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্রিয় হবে। দরবার শরীফে আত্মীয়করন বন্ধ করে, দুর্নীতিবাজদের বাদ দিয়ে এলকাবাসীর সহযোগিতা নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করলে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের উন্নতি হবে।