রফিকুল ইসলাম বাবু, ঃ
শীত মৌসুমের শুরুতেই হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চাঁদপুর সরকারি জেনালের হাসপতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। হাসপতালে গত দুইদিন যাবৎ শিশু ও বয়ষ্ক রোগীর ভর্তির সংখ্যা হু হু করে বেড়ে চলছে। জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা রোগীর সংখ্যাই বেশী। শিশু ওয়ার্ডে ২১ ডিসেম্বর শনিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক মাসের কম বয়সী বেশ কয়েকটি নবজাতকে নাকে নেমুলাইজার দিয়ে শ্বাসকষ্ট দূর করার চেষ্টা করছে মা। কিছু শিশুর বেশী ঠান্ডা লাগায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদের বেশ যন্ত সহকারে সেবা দিচ্ছে কর্তব্যরত সেবিকাগণ ও শিক্ষানবিশ সেবিকাগণ। রোগী বেশী হওয়ায় সেবিকাদের বেশ ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে বিশেষ করে যেসকল শিশু শ্বাসকষ্টজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। অন্যদিকে শিশুদের সাথে সাথে শীতের তীব্রতায় বয়স্ক ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যামও নেহাত কম নয়। বেশীর ভাগ বষস্ক রোগী শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপতালে ভর্তি হচ্ছে। এ বিষয়ে সদর জেনারেল হাসপাতালের আর এম ও ডা. সুজাদউল্যা রুবেল জানান, শীতের প্রকোপ বেরে যাওয়ার কারনে হাসপতালে ঠান্ডাজনিক রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। গত দুই তিন দিনে শিশু রোগী ৭০ থেকে ৮০ জন ও বয়ষ্ক রেগী ভর্তি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ জন। হাসপতালে রোগী ভর্তির পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর চিকিৎসার জন্য যথাযথ খেয়াল রেখে দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি অবিভাবকদের উদ্দেেেশ্য বলেন, শিশুদেরকে অবশ্যই সব সময় গরম কাপড় পড়িয়ে রাখতে যাবে যাতে কোন অবস্থাতেই ঠান্ডা না লাগে। যদি শিশুর ঠান্ডা লেগে যায় তাহলে অবশ্যই নিকটস্থ এমবিএস ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, তাহলে শিশুর সমান্য ঠান্ডা বেড়ে নিউমোনিয়ার দিকে চলে যাবে না। পিংরা এলাকার ৭ মাস বয়ষী শিশুর মা মিম বেগম বলেনে, বাচ্চার ঠান্ডা লাগার পর হাসপতালে নিয়ে আসি। ডাক্তার দেখে বলছে বাচ্চা নিউমোনিয়া হইছে। ডাক্তার ওষুধ লেখে দেয় হাসপতাল থেকে তা পাওয়া যায় না। ওষুধ সব বাহির থেকে কিনে আনতে হয়। চাঁদপুর সদরের বাবুরহাটের দাসদী এলাকার ২০ দিনের নবজাতক আববরারের মা সোনিয়া বলেন, ঠান্ডা লাগায় হাসপতালে বাচ্চারে হাসপতালে ভর্তি করছি। আজকে দুইদিন হয় হাসপতালে আসছি। ভর্তির পর থেকে ডাক্তার মাঝে মাঝে দেখে যাচ্ছে কিন্তু ওষুধ যা লিখে দেয় তা বাহির থেকে কিনে আনতে হয়। হাসপতাল খেকে বিনামূল্যে তেমন কোন ওষুধ আমাদের দেয়া হচ্ছে না। হাইমচর উপজেলার আমেনা বেগম বলেন, বাচ্চা নিয়া গত দুইদিন আগে হাসপতালে ভর্তি হই। ডাক্তার দেখে বলছে ঠান্ডা বেশী লাগায় আমার বাচ্চার নিউমোনিয়া হইঠে। তাই আরো কিছু দিন হাসপতালে থাকতে হইবো।