চলচ্চিত্রে যেন স্বপ্নের মতোই সবকিছু ঘটে যায়। কখনো ছোটাছুটি, ব্যস্ততা, কখনো বা খানিকটা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা। অভিনয়শিল্পী সজল এভাবেই স্বপ্ন দেখছেন চলচ্চিত্রের রঙিন দুনিয়ায় ছুটে চলার এবং ধৈর্য ধরে সেই স্বপ্নকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার। সম্প্রতি প্রথম আলো ডটকমকে এক সাক্ষাৎকারে নিজের বর্তমান কাজ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি।
সজল এখন দর্শকদের জন্য কী নিয়ে কাজ করছেন?
সজল: ১৪ ফেব্রুয়ারি বা ভালোবাসা দিবসের নাটকের অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত সময় কেটেছে। তবে ছোটোপর্দার পাশাপাশি বড়পর্দায় মনোযোগী।
এবার বেছে বেছে কাজ করেছি। আশা করি সজল অভিনীত ভালো নাটক দেখতে পারবেন দর্শকেরা। ঈশিতা, শাহিন কবির পুতুল, শান্তা রহমান ও নুজহাত আলভী আহমেদের নির্মাণে মোট চারটি নাটকে অভিনয় করেছি আমি।
ছোটপর্দার সজল নাকি বড়পর্দার সজল?
সজল: আমি মূলত অভিনেতা। মাধ্যম আলাদা হলেও আমার কাছে সবকিছুর সমান গুরুত্ব। সেটা মঞ্চ, টেলিভিশন, চলচ্চিত্রও হতে পারে।
তবে নিঃসন্দেহে চলচ্চিত্র অনেক বড় মাধ্যম। এখানে অনেক স্বপ্নের ব্যাপার আছে। এখানে কাজের জন্য পূর্বপ্রস্তুতি এবং ধৈর্যের প্রয়োজন পড়ে। আমি চলচ্চিত্রে কাজ করতে এসে আমার স্বপ্নটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। দর্শকদের জন্য ভালো কিছু করার প্রয়াস থাকায় আমার খুব ভালো লাগছে।
রোমান্টিক অভিনেতা সজল?
সজল: দর্শকেরা সজলকে রোমান্টিক অভিনেতা বলেই জেনেছেন। অধিকাংশ নির্মাতা আমাকে রোমান্টিক চরিত্রে বেশি পছন্দ করছেন। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে সিরিয়াস গল্পে অভিনয় করতে পছন্দ করি । আমি চাই আমার চরিত্র হোক বহুমুখী। গভীরতা থাকলে ইতিবাচক, চ্যালেঞ্জিং বা নেতিবাচক যেকোনো চরিত্রে কাজ করতেই ভালো লাগবে।
রানআউট…
সজল: রানআউট নিয়ে কাজ করছি। ৮০ শতাংশ কাজ শেষ। এখন শুধু গানের দৃশ্যায়ন বাকি। ফেব্রুয়ারির ২/৩ তারিখে গানের শুটিং এর জন্য বান্দরবান যাচ্ছি।
এবারের ১৪ ফেব্রুয়ারি নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা?
সজল: আপাতত বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। সিনেমার শুটিংয়ের কাজ নিয়েই হয়তো ব্যস্ত সময় কেটে যাবে।
ভালোবাসা এসেছে আপনার জীবনে?
সজল: ভালোবাসি বলতে প্রথমত সৃষ্টিকর্তা, দ্বিতীয়ত পরিবার, তৃতীয়ত অভিনয়।
বড়পর্দার কি বড় সুপারস্টার হতে যাচ্ছেন সজল?
সজল: এটা পুরোপুরি নির্ভর করছে দর্শকদের ওপর। আমার অভিনয় তাঁরা ভালোভাবে গ্রহণ করলে আমার পরিশ্রম সার্থক হবে। দর্শকদের জন্য আরও কাজ করে যেতে চাই আমি।