শওকত আলী:
সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেও শিক্ষকের ভুলের কারনে কালো মেঘে ঢেকে যাচেছ পাখি আক্তারের শিক্ষা জীবন।সে এখন খাওয়া দাওয়া করতে চায়না, কান্নাকাটি করছে, কোন ভাবেই তার মনকে বুঝাতে পারছে না, অভিভাবকের কাছেও কোন পথ নেই পরীক্ষা দেয়ার জন্য। সে এখন পাগলের মতো হয়ে গেছে। সে সহপাঠিদের বলছে, এ জীবন রেখে কি লাভ। কি করতে কি করে ফেলে এ নিয়ে অভিভাবক চিন্তিত হয়ে পরেছে। ছোটদের বড় পরীক্ষায় অংশ গ্রহন হলেও এর গুরুত্ব অনেক। নিজ প্রতিষ্ঠানের বাহিরে গিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন। এমন পরীক্ষায় প্রথম দিন অংশ গ্রহন করলেও শিক্ষকদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে পঞ্চম শ্রেনীর সমাপনী পরিক্ষা থেকে বাদ পড়েছে সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বকাউল বাড়ীর মো. হানিফ বকাউলের মেয়ে পাখি আক্তার (১২)। সে দাসাদী ডিএস আইএস কামিল মাদ্রাসা থেকে পঞ্চম শ্রেনীর নিয়মিত সমাপনি পরীক্ষার্থী ছিলো। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলার কারণে তার প্রবেশপত্র আসেনি। বিষয়টি কোন সঠিক সমাধানে না আসলেও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ জালিয়াতির মাধ্যমে একই শ্রেনীর ৩৫০ নং প্রবেশপত্রধারী ছাত্র ইয়াছিন আরাফাতের প্রবেশপত্রে নাম মুছে পাখির নাম বসিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সুযোগ করে দেয়। তার পরীক্ষা কেন্দ্র পড়ে একই এলাকার দক্ষিণ দাসদী বোরহানুল উলুম আলিম মাদরাসায়। ওই বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত শিক্ষকরা কেন্দ্রের স্বাক্ষর তালিকায় একজনের নামের সামনে আরেকজনের অর্থাৎ পাখির স্বাক্ষর পেয়ে প্রথম দিনের পরে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন থেকে বহিস্কার করেন। এই বিষয়ে পাখির মা রহিমা বেগম ও আত্মীয় মহসীন জানান, পাখি ওই মাদরাসার নিয়মিত ছাত্রী। কিন্তু কি কারনে তার নামে প্রবেশ পত্র আসেনি তারা পূর্ব থেকে জানতেন না। পরীক্ষারদিন তারা জানতে পারলেও মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ওমর ফারুক মিথ্যা আশ্বাস দেন। তিনি অভিভাবকদের বলেছেন, সে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন না করলেও তাকে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ার সুযোগ করে দেয়া হবে। এই বিষয়ে দক্ষিণ দাসদী বোরহানুল উলুম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সালেহ আহম্মদ জানান, পাখি আক্তারের নাম এবং কেন্দ্রের স্বাক্ষর তালিকায় নাম গড়মিল হওয়ার কারণে তারা পরিক্ষায় অংশ গ্রহন থেকে বাদ দিয়েছেন। বিষয়টি পাখির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভালো বলতে পারবে। দাসাদী ডিএস আইএস কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ওমর ফারুক জানান, মাদরাসার করণিক ভুল করার কারণে পাখি আক্তারের প্রবেশপত্র আসেনি। এই বিষয়ে তিনি জানতেন না। কিন্তু বিষয়টি তদারকি করার দায়িত্ব অধ্যক্ষ এবং শ্রেনী শিক্ষকের এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি। বলেন দেখি ওর জন্য কিছু করা যায়কি না।