রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ছে সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা। বাদ যাচ্ছে না সিএনজি-অটোরিক্সা ও প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহনে সাংবাদিক পরিচয়ে স্ট্রিকার ব্যবহার। তবে ওইসব সাংবাদিকরা সংবাদ কিভাবে লিখে তাও জানে কিনা সন্দেহ আছে। তবে সিএনজি-অটোরিক্সার চালকরা জানিয়েছেন-প্রতিমাসে ৩-৬ হাজার টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পত্রিকা-অনলাইন থেকে কার্ড সংগ্রহ করে দাপটের সঙ্গে যেখানে-সেখানে যাত্রী নিয়ে চলাচলা করা যায়। গাড়ির সামনে ‘সাংবাদিক’ লেখা স্ট্রিকার দেখলে পুলিশ-সার্জেন্ট তল্লাশীও করে না। জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরা, তুরাগ, দক্ষিন খান ও বিমানবন্দর, বাড্ডা, মিরপুর, মহাখালি, সবুজবাগ, ডেমরা-যাত্রাবাড়ি, পুরান ঢাকা ও লালবাগ, মোহাম্মদপুর এলাকায় সাংবাদিক পরিচয়ে প্রায় ৫ শতাধিক সিএনপি-অটোরিক্সা এবং প্রাইভেটকার চলাচল করছে। ওইসব গাড়ির মালিকরা পুলিশী হয়রানি এড়াতে প্রতিমাসে ৩ থেকে ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে সাংবাদিক পরিচয় কার্ড ব্যবহার করছে। তবে মাঝে-মধ্যে তারা পুলিশের হাতে নানা ধরনের অপরাধে গ্রেফতারও হচ্ছে। তখনই বেরিয়ে আসছে আসল রহস্য। আর এ নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া।
প্রতারনার সহজ কৌশল হিসেবে আঞ্চলিক বা স্থানীয় পর্যায়ে অনেকে সাংবাদিকতা পেশাকে ব্যবহার করছেন। আর এ কারণেই স্থানীয়, আঞ্চলিক ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত কিছু কাগজের সঙ্গে মোটা অংকের চুক্তির ভিত্তিতে অনেকে সংবাদ কর্মী পরিচয় দিচ্ছেন। আর ইদানিং তো আর অনলাইন নিউজ পোর্টালের অভাব নেই। এখন প্রতিদিন অমুক, তমুক, ফলনা, ধলনা-তাসকা আইজা, ফাইজ্জা, ডটকম থেকেও অনেকে আইডি কার্ড নিয়ে সংবাদকর্মী সেজেছেন।
শুধু এলাকার লোকজন চেনেন তিনি সাংবাদিক। আর এই পরিচয়ে ধান্দবাজি আর অপসাংবাদিকতা করে দিন চালান। আমি মনে করি তাদের কোন পরিবর্তন হবেনা। কিভাবে বা হবে আসলে যাদের সাংবাদিকতা বিষয়ে নূন্যতম কোন জ্ঞান নেই, নেই কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, এমনকি সাংবাদিকতা বিষয়ে কোন প্রশিক্ষণও নেই। এরা বেশিরভাগই পুলিশের কথিত সোর্স বলে জানা গেছে।
এসব সাংবাদিক পরিচয়ধারিদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সমকালের সিনিয়র সাব-এডিটর খায়রুল আলম লিখেছেন-নাম সর্বস্ব কিছু পত্রিকা বা অনলাইন পোর্টাল এমন কিছু লোকদের নিয়োগ দিয়ে পুরো সাংবাদিক সমাজকে চরম কলুষিত করেই তুলেছে। এসব সংবাদকর্মীর কাজেই হল বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে গিয়ে আইডি কার্ডকে পূঁজি করে নিজেদের বড় মাপের সংবাদিক পরিচয় দিয়ে অবৈধ সুযোগ গ্রহণ করা। আর সাংবাদিকতা জগৎ যেটাই হোক না কেন এক শ্রেনীর সংবাদকর্মী নামধারী বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন অফিসের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে পত্রিকায় নিয়োগ দেওয়া ঐ সমস্ত অপসাংবাদিকদের নামে কপি-পেষ্ট সংবাদ সরবরাহ দিয়ে নিজেরাও প্রতিনিয়ত টুপাইস কামাই করছে।
এম আর রফিক নামে একজন গনমাধ্যম কর্মী লিখেছেন-দুধে যেমন পানি আছে, তেমনি ধানেও চিটা আছে। চিনা বামনের পৈতা লাগেনা বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অপরদিকে হারুন মিত্র লিখেছেন, সততা ও কর্ম এবং যোগ্যতা কে বিসর্জন দিচ্ছে কিছু নামধারী সাংবাদিক। তারা মূলত সাংবাদিক পরিচয়ে এলাকায় দালালি করছে।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।