খুলনা থেকে
“নেই দলাদলি, নেই বিভক্তি-আছে ঐক্য আছে সম্পৃতি” উদ্দেশ্য বেকার ও দারিদ্রমুক্ত একটি সুখি ও সম্মৃদ্ধশালী আদর্শ গ্রাম তৈরী করা এবং মানুষদের মসজিদ মুখি করা। যার নাম খুলনা ডুমুরিয়ার অন্তর্গত থুকড়া গ্রাম।
পবিত্র ঈদুল আযহায় ঐ গ্রামে 6 থেকে 7 হাজার জনমানুষের মধ্যে মোট 45 জন কুরবানি করেন। এত বিশাল জনশক্তি অল্প কয়েকটি গরু-ছাগল কুরবানি দিয়ে পারবে কি সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে? ঠিক এমনই যখন প্রশ্ন তখন দলমত নির্বিশেষে সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দায়িত্ব কাধেঁ তুলে নেন থুকড়া বায়তুস সালাম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটি। আর সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন এলাকার সকল গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তাদের সাথে যুক্ত হয়ে কাজকে আরো বেগবান করতে ও অনুপ্রেরণা যোগাতে সুদূর খুলনা থেকে বারবার ছুটে আসেন থুকড়া বায়তুস সালাম যাকাত কমিটির প্রধান উপদেষ্টা, ইসলামী কলামষ্টি, ডাঃ হাফেজ মাওলানা মোঃ সাইফুল্লাহ মানসুর।
প্রথমে তারা এলাকার প্রতিটি ঘরের তালিকা তৈরী করেন যার সংখ্যা দাড়ায় 555 ঘর। এর মধ্যে এ বছর কুরবানি দিচ্ছে মাত্র 45 ঘর। মসজিদ কমিটি 45জন কুরবানী দাতার কাছ থেকে মোট গোশত সংগ্রহ করেন 648 কেজি। আর কুরবানী দিচ্ছে না এমন 506 ঘরকে তারা গোসত বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেন। অতএব তারা পরিবারের সদস্য সংখ্যার উপর ভিত্তি করে 1-3 সদস্য পরিবারের জন্য গোশত বরাদ্দ করেন সোয় 1 কেজি, 4-7 সদস্য পরিবারের জন্য বরাদ্দ করেন 1.5 কেজি আর 8 থেকে তার উপরে সদস্য পরিবারের জন্য বরাদ্দ করেন 2 কেজি করে। এভাবে 520 প্যাকেট করে তারা পৌছে দেন প্রতিটি ঘরে ঘরে সুসৃংখলভাবে । এ কাজে সেচ্ছায় শ্রম দেন এলাকার একদল নিবেদিত মানুষ আর সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মসজিদ কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ আফজাল হোসেন, জি এম জহিরুল হক, বি এম আবঃ রাজ্জাক, জি এম আফজাল হোসেন, বি এম আয়ুব আহমেদ, জি এম জাহাঙ্গির হোসেন, আলহাজ আঃ গনী, আজ্জব আলী প্রমূখ।
এ কার্যক্রম সম্পর্কে কুরবানি দাতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ জামিরুল ইসলাম বলেন- এ উদ্দোগ খুবই প্রসংসনীয় এবং কষ্টের। আমাদের পক্ষে এভাবে সমবন্ঠন করে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গোশত পৌছে দিয়ে আসা সম্ভব নয় যা মসজিদ কমিটি করছে। এতে আমরা সবাই খুব খুশি ও আনন্দিত।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ আফজাল হোসেন বলেন- আমরা চেয়েছি এলাকার সকল মানুষ পবিত্র ঈদুল আযহার আনন্দ সমানভাবে উপভোগ করুক। তিনি বলেন এ কার্যক্রম বিগত দুই বছর ধরে চলে আসছে। আগামী দিনে আরো জোরদারভাবে করা হবে ইনশাআল্লাহ।
যাকাত কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ডাঃ হাফেজ মাওলানা মোঃ সাইফুল্লাহ মানসুর বলেন-আমাদের সামাজিক উন্নতির জন্য সবার আগে যেটা প্রয়োজন সেটা হলো সহানুভূতি এবং ঐক্য। এ দুটি জিনিস যদি গ্রহন করতে পারি এবং আল্লাহর বিধানাবলী যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে আমাদের গোটা সমাজের চেহারাটাই বদলে যাবে। আমরা সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছি….।
উল্লোখ্য তারা গ্রামকে বেকার ও দারিদ্রমুক্ত করতে যাকাত ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার বিরাট কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে চলেছে….
শিরোনাম:
বুধবার , ১৭ আগস্ট, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ , ২ ভাদ্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।