বিরিয়ানিতে খাসির বদলে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠার পর সুলতান’স ডাইনের গুলশান শাখায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর আগে দুপুর ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এ রেস্তোরাঁয় অভিযান চালায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
অভিযানের সময় সুলতান ডাইন যে সরবরাহকারীর কাছ থেকে মাংস সংগ্রহ করে তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর ২৫ কেজি খাসির মাংসের গড়মিল পায় জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর। এর ব্যাখা জানতে চেয়ে আগামী সোমবার সকাল ৯টায় কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মাংস সরবরাহকারীসহ সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ঢাকা জেলা কার্যালয়ের প্রধান ও সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল, সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক ফারহানা ইসলাম অজান্তা।
অভিযানের সময় সুলতান’স ডাইনে মাংস সরবরাহকারী আবদুল জব্বার মণ্ডলকে ফোনালাপে , সুলতান’স ডাইনকে আজ বৃহস্পতিবার ১২৫ কেজি খাসির মাংস বাকিতে সরবরাহ করেছে। মাংস প্রসেসিংয়ের সময় সুলতান’স ডাইনের কেউ না থাকলেও সরবরাহের সময় তাদের একজন প্রতিনিধি ছিল।
তবে আজ কাগজে-কলমে সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষ ১৫০ কেজি খাসির মাংস সরবরাহ করে রান্নার জন্য। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল সুলতান’স ডাইনের ব্যবস্থাপক মো. আশরাফ আলমের কাছে জানতে চান, সরবরাহকারী ১২৫ কেজি সরবরাহ করলে বাকি ২৫ কেজি মাংস তারা কার থেকে সংগ্রহ করেছে?
২৫ কেজি খাসির মাংসের গড়মিলের ব্যাখ্যা জানতে চায় ভোক্তা অধিদপ্তর। তবে সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষ কোনো ডকুমেন্ট বা রশিদ দেখাতে পারেনি। সুলতান’স ডাইনের ব্যবস্থাপক বলেছেন, তারা বাকিতে খাসির মাংস সংগ্রহ করেন। যার রশিদ বা বিল সন্ধ্যায় সরবরাহকারী দিয়ে যাবেন। তখন তাকে বকেয়া পরিশোধ করা হবে।
অভিযান শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু সুলতান’স ডাইনের কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের সঙ্গে মাংস সরবরাহকারীর বক্তব্যে এবং কাগজপত্রের গড়মিল পেয়েছি। তারা আপাতত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাই তাদের আগামী সোমবার ভোক্তার অফিসে এসে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। তারপর যদি কোনো ভুল-ত্রুটি পাই তখন সুলতান ডাইনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’