স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুরে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে বেধম পিটিয়ে আহত করায় স্বামী ফারুক খান (৩৫) কে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদাল আজ বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক (জেলা জজ) রমনী রঞ্জন চাকমা এই রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত ফারুক খান সদর উপজেলার রামদাসদী গ্রামের মৃত কামাল খানের ছেলে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বাগাদী গ্রামের শেখ বাড়ীর মমতাজ শেখের মেয়ে লাভলী বেগমের সাথে ২০১১ সালের ২০ মার্চ বিয়ে হয়। বিয়ের ৭/৮ দিন পর থেকেই ২লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবী করে ফারুক ও তার পরিবার। এ নিয়ে নির্যাতনের শিকার হয় পারভীন। পরে পারভীনকে তার পিত্রালয়ে নিয়ে আসে তার স্বজনরা। পরে এই ঘটনায় ২০১১ সালের ১জুন শালিশ বৈঠক হয়। পারভীনের স্বামী ফারুক খান তাকে আর মারধর করবেনা বলে মোসলেকা দেয় এবং শহরের মধ্য তরপুরচন্ডী দেলোয়ার হোসেনের বাড়ীতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে। তখন জানতে পারে ফারুক খান এর পূর্বে একাধিক বিয়ে করেছে।
এরপর ২০১১ সালের ৯ জুন সকাল ১১ ভাড়া বাড়ীতে ফারুকের আরেক স্ত্রী লাকী বেগম সহ পারভীনকে মেধম মারধর করে এবং মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পাশ্ববর্তী লোকজন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই দিনই পারভীন নিজে বাদী হয়ে তার স্বামী ফারুক খান ও আরেক স্ত্রী লাকী বেগমকে আসামী করে শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১১ (গ) ধারায় মামলা দায়ের করে।
ওই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) মোস্তফা চৌধুরী ২০১১ সালের ৬ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
সরকার পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট হাবিবুল ইসলাম তালুকদার বলেন, দীর্ঘদিন মামলাটি স্বাক্ষী প্রমান শেষে মঙ্গলবার দুপুরে আসামী ফারুক খানকে বিচারক ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৫০হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন এবং অপর আসামী লাকী বেগমকে খালাস দেন। আসামী ফারুক খান মামলা নিয়মিত হাজিরা দিলেও রায়ের দিন অনপুস্থিত ছিলেন। সরকার পক্ষের সহকারী পিপি ছিলেন অ্যাড. জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া।