প্রতিনিধি=
হাজীগঞ্জ উপজেলায় স্ত্রীর দায়েরকৃত যৌতুকের মামলায় পলাতক স্বামীকে ৩ বছরের জেল ও জরিমানা করেছে আদালত।
হাজীগঞ্জ উপজেলার লাউকরা এলাকার মৃত আমিনুল ইসলাম মজুমদারের মেয়ে পারভীন বেগমের সাথে একই উপজেলার বেলঘর এলাকার মোঃ আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাহাদাত হোসেনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়ার পর থেকেই পারভীনকে শ্বশুর বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য তার স্বামী শাহাদাত প্রায়ই মারধর করতেন। ২০০৮ সালের ১৩ জুলাই শাহাদাত স্ত্রী পারভীনকে তার বাপের বাড়ি থেকে দেড় লাখ টাকা আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। শাহাদাত তার স্ত্রীকে বলে তাকে বিয়ের সময় যে টাকা দেয়া হয়েছে সেটা দিয়ে চলবে না। যৌতুকের টাকা হিসেবে আরো দেড় লাখ টাকা লাগবে। টাকা আনতে না যাওয়ায় পারভীন বেগমকে মারধর করে এবং ডান কানের পর্দা ফাটিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় তিনি ২০০৮ সালের ৬ আগস্ট স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেন। মামলার তদনত্দকারী কর্মকর্তা এসআই মিজান তার স্বামীকে আটক করে কোর্টেও প্রেরণ করেন। শাহাদাত তখন স্বীকার করেন, পারভীনের পরিবারের সাথে এ ব্যাপারে আপোষ করবেন। এতে তিনি জামিন পান। তারপর থেকে আসামী শাহাদাত পলাতক রয়েছেন। এ ব্যাপারে চাঁদপুর আদালতে নারী নির্যাতন মামলার (১১) গ ধারায় পলাতক শাহাদাতকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। জরিমানাকৃত টাকা ভিকটিম পাবে।
গতকাল চাঁদপুর কোর্টে চাঞ্চল্যকর এ রায় প্রদান করেন চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শফিকুল করিম। এ মামলায় রাষ্ট্র পৰের আইনজীবী ছিলেন স্পেশাল পিপি (নারী ও শিশু) অ্যাডঃ মোঃ হাবিবুল ইসলাম তালুকদার, এপিপি জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ও মুক্তার আহম্মেদ। আইনজীবী হাবিবুল ইসলাম তালুকদার জানান, এ মামলার ১১ জন সাৰীর মধ্যে ৮ জন সাৰীই তাদের জবানবন্দি আদালতে প্রদান করেন।