আল-আমিন :
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃতি পেতে আইন ও সমাজপতিদের দ্বারে ঘুরছে অসহায় এক কুমারী মাতা। ঘটনাটি উপজেলার পৌর ৬ং ওয়ার্ডের কাজিরকাপ গ্রামের। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের জমাদ্দার বাড়ির মৃত আরব আলীর কন্যা হাছিনা আক্তার (১৭) একই উপজেলার রায়শ্রী দণি ইউনিয়নের নোয়াপাড়া মজুমদার বাড়ির আঃ মজিদের পুত্র আনোয়ার হোসেনের ঘরে ঝিয়ের কাজ করতো। ২০১১ সালের মাঝামাঝি হাছিনার গর্ভ ধারণের ঘটনা প্রকাশ পায়। রায়শ্রী দণি ইউপি চেয়ারম্যান আঃ ছাত্তার গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ঘটনাটি নিঃস্পত্তি করার মাধ্যমে ভিকটিমের প্রাপ্য অর্থ আত্বসাতের কারনে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে হাছিনা। এরই মধ্যে ২০১২ সালের প্রথম দিকে হাছিনা একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে। যার বর্তমান বয়স প্রায় ২ বছর। এখনও হাছিনা ও তার পুত্র অভি স্ত্রী আর সন্তানের স্বীকৃতি পায়নি। যে কারনে অসহায় হাছিনা ঘুরছে মানুষের দ্বারে স্বামী ও সন্তানের অধিকার পেতে। এ বিষয়ে হাছিনা জানায়, ছোট বোন খালেদা আনোয়ারের বাসায় ঝিয়ের কাজ করতো। কোন এক কারনে খালেদা ওই বাসায় কাজে না গেলে আনোয়ার এসে তার মায়ের হাত পা ধরে তাকে নিয়ে যায়। সপ্তাহ খানিক পর তার স্ত্রী ও ২ সন্তানকে শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। হাছিনার শোবার ঘরে রাতের অন্ধকারে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে আনোয়ার। দ্বিতীয় রাতে একজন হুজুর এনে আনোযার তাকে বিয়ে করার পর থেকে চলে স্বামী-স্ত্রীর সর্ম্পক। এক পর্যায়ে গর্ভবতী হয় সে। বিষয়টি তার স্বামী আনোয়ারকে জানালে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে তা পরীা করে সত্যতা পায়। ভিকটিম হাছিনা আরও জানায়, সে আনোয়ারের বিবাহিত স্ত্রী আর তার গর্ভের সন্তান তার আমানত-এমন মৌখিক স্বীকৃতি দেয় আনোয়ার। এরপর থেকে শুরু হয় বিচ্ছেদের নানা নাটক। যার রেশ ধরে তার স্বামী আনোয়ার স্ত্রী সন্তানের ভরন পোষন ও দেখভাল বন্ধ করে দেয়। যে কারনে হাছিনা স্বামী সন্তানের স্বীকৃতি পেতে আদালতে মামলা করে। বিবিধ কারনে ওই মামলা খারিজ হয়ে যায়। আজ সে আইন ও সমাজপতিদের দ্বারে সুবিচারের আশায় ঘুরছে। গরীব অসহায় পিতার কন্যা পেটের দায়ে অন্যের ঘরের ঝিয়ের কাজ করার সুযোগে নানা প্রলোভনের জালে ফেলে যে অমানবিক ঘটনার জম্ম দিয়েছে আনোয়ার তার সুষ্ঠ বিচার কামনা করে সুশীল সমাজ।