শওকত আলী ঃ
স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও চাঁদপুরের মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর পুর্নবাসন হয়নি। সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন ব্যবস্থা রাখলেও স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের (নং-১৩৪০৩২৬) স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের পুনর্বাসন হয়নি। যেখানে একজন মুক্তিযোদ্ধার সরকারি বাড়ি, খাসজমি বরাদ্দ, বিদ্যুৎ বিল মওকুফসহ সরকারি বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য চাকুরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্ধারিত কোঠা, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ও রেশনের ব্যবস্থা রেখেছেন। সেখানে স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও শহিদ মুক্তিযোদ্ধার একমাত্র সদস্য স্ত্রী মনোয়ারার পুনর্বাসন না করায় বর্তমানে তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের বেলতী বাবার বাড়িতেই কস্ট শীকার করে জীবন-যাপন করছেন।
বর্তমান সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন ব্যবস্থা করেছেন। এতো কিছুর পরেও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টির অগোচরে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তৎকালীন সেনা সদস্য ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ আ. মান্নানেরর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সনদ নং ম-৭৬৫২৮।
দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হওয়া সত্বেও শহীদ সেনা সদস্যের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি। কুমিল্লা সেনানিবাসে সেনা পল্লীপ্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নীতিমালায় আবেদন করেও কোনো সুবিধা পাননি। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে একাধিকবার সরকারের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু অসহায় এই শহীদ পরিবারের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। জুটেনি পুনর্বাসনের জন্য এক শতক জমিও।
সম্প্রতি তার এক ভাই রুহুল আমীন ওরফে রুলা মনোয়রা বেগমের বসত ঘরের চার পাশে বেড়া দিয়ে গৃহবন্ধি করে রেখেছে । এ ব্যাপারে চাঁদপুর পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে কিন্তু কোনো সুফল পাননি বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধা শহীদ পরিবারের হতভাগী মনোয়ারা।
মনোয়ারা বেগম পুনর্বাসন সুবিধা পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), জেলা প্রশাসন চাঁদপুর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
শিরোনাম:
রবিবার , ১৫ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।