
শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
মতলব উত্তরে যৌতকের জন্য স্বামীর অমানুষিক নির্যাতন ও শ্বশুর-শাশুড়ির অবহেলা এবং চিকিৎসার অভাবে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে অন্তসত্বা গৃহবধু সুফিয়া বেগম(১৮) করুন মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল ৮ টায় হাসপাতালের গায়নি বিভাগে পিটে বাচ্চা নিয়ে অন্তসত্বা গৃহবধুর এই মৃত্যু ঘটে।
ঘটনার পরেই ঘটনা ধামাচাপা দিতে কেউ বুঝে উঠার আগেই তরিগড়ি করে শ্বশুর তাহের ও শাশুড়ি হাসনা বেগম নিহত গৃহবধু সুফিয়া বেগমের লাশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, মতলব উত্তর দক্ষিন রামপুর ইউনিয়নের আমিরাবাদের মৃত শিরাজ মিজির মেয়ে সুফিয়া বেগমের সাথে এক বছর পূর্বে একই এলাকার শিকদার বাড়ির তাহের শিকদারের ছেলে স্বপন(২৮) শিকদারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্বপন যৌতকের জন্য প্রতিদিন বেদম মারধর করে। সুফিয়া বেগম অন্তসত্বা হবার পর থেকে তাকে বেশ কয়েকবার মারধর করার পরে সে নিজের প্রান বাঁচাতে পালিয়ে নিজের বাড়িতে চলে আসে। গত শুক্রবার রাতে ব্যার্থা শুরু হলে মা ছিরু বেগম মেয়ে সুফিয়া বেগমকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার অন্তসত্বা গৃহবধু সুফিয়া বেগমের অবস্থা আশংঙ্খাজনক দেখে কুমিল্লা মেডিক্যেল হাসপাতালে রেফার করে। শ্বশুর-শাশুড়ির হাসপাতালে এসে তাকে কুমিল্লায় না নিয়ে অবহেলায় করে। অবশেষে চিকিৎসার অভাবে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পেটে বাঁচ্চা সহ গৃহবধু সুফিয়া বেগম(১৮) করুন মৃত্যু হয়েছে। নিহত গৃহবধু সুফিয়া বেগমের মা ছিরু বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ি তার স্বামী স্বপন শিকদার। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্বপন যৌতকের জন্য প্রতিদিন বেদম মারধর করতো। তার পেটে লাত্থি মারায় অনেক রক্ত বেড় হয়েছে। এই কারনে ডাক্তার তাকে কুমিল্লায় নেওয়ার জন্য বলে। কিন্তু তার শ্বশুর-শাশুড়ি হাসপাতালে এসে তাকে কুমিল্লায় না নিয়ে সদর হাসপাতালে রাখার কারনে সুফিয়ার এই করুন মৃত্যু হয়েছে।