রফিকুল ইসলাম বাবু ॥
চাঁদপুরে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ৩ সন্তানসহ ডাকাতিয়া নদীতে ডাকাতিয়ায় ঝাঁপ দিয়ে গৃহবধু আত্মহত্যার চেষ্টা করে । এ সময় স্থানিয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে গৃহবধুকে উদ্ধার করে চাঁদপুর মডেল থানায় প্রেরণ করে।
জানাযায়, কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার ফেরদৌসির সাথে ১০ বছর পুর্বে ফিরোজপুর জেলার মঠবাড়ি ঝাঁউতলা এলাকার দুলাল সর্দারের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ফেরদৌসির স্বামী দুলাল যৌতুকের জন্য ফেরদৌসিকে প্রায় সময় বেদমভাবে মারধর করতো। এসব পারিবারিক কলহ নিয়ে এলাকার শালিশ বৈঠক হয়। উক্ত বৈঠকে ফেরদোসিকে আর না ,মারার জন্য শালিসিরা স্বামী দুলাল সর্দারকে জানায়। কিন্তুু তাতেও দুলাল না শুনে দিনের পর দিন ফেরদৌসিকে নানা অযুহাতে মেরে অনেকটা পাগল বানিয়ে ফেলে। একপর্যায়ে স্বামির অমানবিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সোমবার ফেরদৌসি তার ৩ সন্তানদের নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশে লঞ্চে করে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে এসে মঙ্গলবার ভোরে নামে। সকালে কয়ল াঘাট এলাকায় ডাকতিয়া নদীতে ৩ সন্তানকে নিয়ে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় এলাকার লোকজন ও নৌকার মাঝিরা দেখতে পেয়ে নৌকার মাঝি মোল্লা, মনির, বাচ্চু নদী থেকে গৃহবধু ও তার ৩ সন্তানকে উদ্ধার কওে কয়লাঘাট জনদরদী নিলূ বেগমের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নিলু চিকিতসক এনে তাদের সুস্থ করে তোলে। পরে স্থাণিয় এলাকাবাসি চাঁদপুর মডেল থানায় খবর দিলে উপ-পরিদর্শক ত্রিনাথ সঙ্গিয়ফোর্স এসে গৃহবধু ও তার সন্তানদেও থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে গৃহবধু ফেরদৌসির সন্তান ফারিয়া জানায়, তার মাকে প্রায় প্রতিদিনই তারা বাবা মারধর করতো। মা অনেকবার কিস্তিতে বাবাকে টাকা উত্তোলন করে দেয়। আবারো টাকা চাইলে মাকে খুব মারধর করতো।