শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
হাইমচর উপজেলায় অধীক সুধ দেবার কথা বলে ও জমি বিক্রীর প্রলভোন দেখিয়ে প্রায় অর্ধ শতাধীক মহিলাদের নামে বেশ কয়েকটি এনজিও থেকে ধোকা দিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে হালেমা আক্তার নামে এক প্রতারক নারি উধাও হবার ঘটনা ঘটেছে। এনজিওর কিস্তির টাকা না দিতে পেরে অসহায় নারীরা এখন পথে পথে ঘুরছে।
এই ঘটনায় ওই প্রতারক হালেমা আক্তার(৩০)তার স্বামী খোকন খান(৪০) সহ তাদের সহযোগি ৫ জনের নামে আদালতে প্রতারনা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, হাইমচর উপজেলায় ২ নং আলগী দূর্গাপুর ইউনিয়নের ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের খোকন খানের স্ত্রী হালেমা আক্তার এলাকার অসহায় মহিলাদের অধিক সুধের প্রলোভন দেখায়। সে প্রায় অর্ধশত মহিলাদের নামে গ্রামীন, ব্রাক ও উদ্দিপন সহ বেশ কয়েকটি এনজিওর কাছ থেকে কিস্তির টাকা উঠিয়ে প্রতারক হালেমা আক্তার সেই টাকা নিজের কাছে রেখে দেয়। সেই কিস্তির টাকা সে নিজে দিবে ও সেই টাকার অধিক সুধ ওই অসহায় মহিলাদের দেবার প্রলোভন দেখায়। এছাড়া প্রতারক হালেমা আক্তার তার স্বামীর জায়গা বিক্রি করার কথা বলে এলাকার বেশ কয়েকজনের কাছে থেকে কয়েক লক্ষ টাকা আতœসাত করে। ঘটনার পরেই প্রতারক হালেমা আক্তার ও তার স্বামী খোকন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনা অনুসন্ধানে ওই এলাকায় গিয়ে জানা যায়, ২ নং আলগী দূর্গাপুর ইউনিয়নের ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের মৃত রব পাটওয়ারীর মেয়ে হালেমার সাথে ৯ বছর পূর্বে মৃত রওশন খানের ছেলে খোকন খাঁনের বিয়ে হয়। গত ১ বছর পূর্বে হালেমা আক্তার এলাকার অসহায় মহিলাদের কাছ থেকে জায়গা বিক্রির কথা বলে টাকা নেয়। পরে প্রায় অর্ধশত মহিলাদের নামে গ্রামীন, ব্রাক ও উদ্দিপন থেকে কিস্তির টাকা উঠায়। এদের মধ্যে নূর জাহান বেগমের কাছ থেকে জায়গা বিক্রির নামে ৫২৫০০০ টাকা, নান্টু পল্লি চিকিৎসকের ২০৪০০০, রানু বেগমের নামে এনজিও থেকে ১২০০০০,মনু বেগমের ৬০০০০,হোসনেয়ারার ৭০০০০,বিলকিছ বেগমের ৭০০০০, আমেনা বেগমের ২৮০০০,তাছলিমা বেগমের ৪৫০০০,সুরিয়া বেগমের ২৫০০০,কুহিনুর বেগমের ৪৫০০০, রানু বেগমের ২১০০০,অন্ধ নুরজাহান বেগমের ৩০ হাজার টাকা সহ প্রায় অর্ধশত মহিলাদের কাছ থেকে ধোকা দিয়ে টাকা নিয়ে আত্বসাত করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরেই ক্ষতিগস্তরা হালেমাকে না পেয়ে তার স্বামী খোকন খাঁনকে আটক করে। হালেমা তার স্বামীকে ছাড়িয়ে নিয়ে হাইমচর থানার এসআই মোস্তফার সাথে কন্টাক করে সেখানে পাঠায়। পরে পুলিশ এলাকায় গিয়ে হালেমার স্বামী খোকনকে সহ ক্ষতিগস্ত ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে খোকনকে ছেড়ে দিয়ে ক্ষতিগস্তদের কাছ থেকে মুছলেখা রেখে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দেয়। ক্ষতিগস্তরা থানায় গিয়ে প্রতারক হালেমার নামে মামলা ও জিডি করতে গেলে এসআই মোস্তফা তাদের ভয় ভীতি দেখিয়ে অভিযোগ নেয়নি বলে তারা জানায়।
্ এই ব্যাপারে এসআই মোস্তফার মোবাইল নাম্বারে ফোন করে জানতে চাইলে তার সংযোগ বন্ধ থানায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
থানায় অভিযোগ দিতে না পেরে ক্ষতিগস্তরা প্রতারক হালেমা আক্তার(৩০)তার স্বামী খোকন খান(৪০) সহ তাদের সহযোগি ৫ জনের নামে আদালতে প্রতারনা মামলা দায়ের করে।