মিজান লিটন ॥
মেঘনা দিয়ে দক্ষিণের সাগরে নামছে পানি এতে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়েছে চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা ইউনিয়নসহ কটি গ্রাম। এর মধ্য বেশি ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে নদীর পশ্চিম পাড়ে উপজেলার তিনটি গ্রাম। তীব্রস্রোতের কবলে পড়ে ভেঙে চলেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাবিগাজীপাড়া, মোলাকান্দি এবং সাহেবগঞ্জ।
কয়েকদিনের ভাঙনে প্রায় ১ কিলোমিটার জুড়ে এলাকার স্কুল, বাজার, বসতবাড়িসহ কয়েক’শ স্থাপনা এতো মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এলাকাবাসী। বসতবাড়ি হারিয়ে নদীপাড়ের মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে চলেছেন। এ অবস্থায় জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত ভাঙন রক্ষায় সরকারের সহায়তা চেয়েছেন।সরিয়ে নিচ্ছেন তাদের স্থাপনা।
আবার নতুন করে ভাঙন আতঙ্কে অনেকেই। এলাকার একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এলাকার শিশুরা অস্থায়ী একটি ঘরে শ্রেণি পাঠের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে হাইমচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটোয়ারী বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে জেলা প্রশাসককে তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। হাইমচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে সদর ইউনিয়নে বাস করে প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
পানি কমতে থাকলেও ভাঙ্গন এখন কমছে না। স্কুল, বসতবাড়ি, বাজার নদীতে বিলিন হয়েছে। আরো স্থাপনা ভাঙ্গনের কবলে পরার সম্বাভনা রয়েছে।
এ বিষয়ে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সাহাদাত সরকারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বন্যার্ত্যদের মাাঝ থেকে ৩২০ জনকে ১০ কেজি করে চাল প্রধান করা হয়েছে।