আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য হাইমচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
হাইমচরের ঈশানবালার জনৈক বাসিন্দা হাইমচর ও শরীয়তপুরের ঘোষাইরহাট এলাকার সীমানা বিরোধের অভিযোগ এনে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট পিটিশন করলে আদালত নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেয় বলে বিশেষ একটি সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজের কাছে জানতে চাইলে সোমবার রাতে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে হাইমচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, উচ্চ আদালতের আদেশ সংক্রান্ত কোনো কপি এখনো নির্বাচন কমিশনের হাতে পৌঁছেনি। আদেশ হাতে পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের আদেশের স্থগিতাদেশ ও নির্বাচন চেয়ে চেম্বার জজ আদালতে আপিল করলে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে কোনো আদেশ দেননি বলে সূত্রটি জানিয়েছে। ফলে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইমচর উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন না হওয়ার সংবাদ হাইমচর উপজেলায় চাউর হলে এ নিয়ে সর্বমহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পুরো উপজেলার বাসিন্দারা যখন উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক সে সময় আদালতের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিতের খবরে সবাই হতবাক।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন সরকার সমর্থিত একাধিক প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় অভ্যন্তরীণ বিরোধকে কাজে লাগিয়ে একটি পক্ষ অনির্বাচিতভাবে স্বপদে বহাল থাকতে আইনি প্রক্রিয়ায় নির্বাচন স্থগিত করতে সক্ষম হয়েছে।
এ নিয়ে সরকার সমর্থিত দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে কম-বেশি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ভোটাররা আশঙ্কা করছেন এ নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী হাইমচরে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা রাত-দিন ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করে নির্বাচনে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি শেষ করেছিল।