রফিকুল ইসলাম বাবু ॥
চাঁদপুরের হাইমচর মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ৯ ব্যাক্তির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৩১ জানুয়ারী) সকালে বরিশাল থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে হাইমচরে নিয় আসা হয়েছে উদ্ধার হওয়া ফাহিম উপজেলার চরভৈরবী উত্তর বগুলি এলাকার লিটন হাজীর ছেলে। সন্ধ্যায় ফাহিমের জানাযা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়। তার মরদেহ বাড়িতে আসলে শত শত মানুষ দেখার জন্য ভীড় জমায়। ওই বাড়ীতে এখন স্বজনদের শোকের মাতম চলছে।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল জানান, ঘটনার ৬ দিন পর বরিশালের অন্তর্বান এলাকায় মেঘনা নদীতে স্থানীয় এক জেলেদের জালে শিশু ফাহিমের মরদেহ আটকা পড়ে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে তার স্বজনরা মরদেহ উদ্ধার করে হাইমচরে নিয়ে আসে। হাইমচর নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রতন হাজী জানান, ডুবে যাওয়া ট্রালারটি দুপুরে উদ্ধার করা হলে আরেক শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়। তবে শিশুটির চেহারা বুঝা না যাওয়ার কারণে সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ট্রলারটি পুরোপুরি উপরে উঠালে আরো মরদেহ পাওয়ার আশংকরা রয়েছে বলে ওই চেয়ারম্যান জানান। অপরদিকে দুই শিশুর মরদেহর সন্ধান পাওয়ায় মেঘনার দু’পাড়ে স্বজনরা এসে ভীড় জমাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারী) সকালে হাইমচরে তেলিরমোড় এলাকা থেকে অর্ধশত যাত্রী নিয়ে ‘এমভি রবিন’ নামের ট্রলারটি ঈশানবালার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে মেঘনার মাঝ নদীতে ঘনকুয়াশায় ট্রলারটি একটি মালবাহি জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়।