বিশেষ প্রতিনিধি
হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল (পূর্ব) ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবু ইউছুফের বিরুদ্ধে সড়কের কাজ না করে কাবিটার পৌনে ২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
পিআইও’র কার্যালয়ের তথ্য মতে, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে বড়কুল (পূর্ব) ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বড়কুল মজিদ পাটওয়ারী বাড়ি থেকে রসুলপুর হরিসেবা বাড়ি পর্যন্ত সড়ক পুনঃ নির্মাণের জন্য কাবিটার (কাজের বিনিময়ে টাকা) পৌনে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু ইউছুফকে এ প্রকল্পটির সভাপতি করা হয়।
গত ৮ জুলাই ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আবু তালেব কাজ না করে টাকা আত্মসাতের বিষয়ে ইউপি সদস্য আবু ইউছুফের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগটি তদন্তের জন্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এটিএম কাউছার হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
এ দিকে গত ১১ জুলাই সরজমিনে সড়কটির পুনঃ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, নামমাত্র মাটির কাজ করা হয়েছে। পুকুর এবং খালের পাড়ে প্যালাসাইটিং ব্যবহার না করে মাটি ফেলার কারণে বৃষ্টিতে বেশির ভাগ মাটিই পুকুর ও খালে চলে গেছে।
এ প্রসঙ্গে আবু ইউসুফ বলেন, অভিযোগকারী আবু তালেব আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা নয়। সে প্রতিহিংসা বশতঃ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তবে তিনি স্বীকার করেন এসব কাজ করতে গিয়ে চারদিকে খরচ করে যে টাকা পাওয়া যায় তা দিয়ে সামান্য কাজ করা যায়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রেজাউল করিম বলেন, সড়কটির পুনঃ নির্মাণ কাজ তুলনামূলক খারাপ হয়নি। সাবেক ইউপি সদস্যের হয়ত চাহিদা পূরণ না হওয়ায় তিনি এমপি মহোদয়ের কাছে অভিযোগ করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাউছার হোসেন জানান, অভিযোগটি তদন্তের জন্যে উপজেলা প্রকৌশলী আশ্রাফ জামিলকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি এখনো এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেননি।
এ ব্যাপারে বিশিষ্ট মিষ্টিজাত দ্রব্য বিক্রেতা পুরাণবাজার করুণা মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী অজিত কুমার সাহা জানান, গতবারের চেয়ে এবার জিলাপীর চাহিদা অনেক কম। গতবার আমরা যে পরিমাণ জিলাপী বিক্রি করেছি এবার সে রকম বিক্রি হচ্ছে না। বর্তমানে সবাই নতুন বাজারমুখী হয়ে পড়েছে। ফলে বেচা বিক্রি খুবই কম। দেখা যায় তেলে ভাজা দোকানের চিত্রও একই রকম। বেগুনের নামে বেগুনী বিক্রি হলেও ভিতরে বেগুনের বদলে মিলবে কুমড়ো বা পেপে। তবে তার জন্য দোকানীর কোনো সমস্যা হয় না। রোজাদার মানুষ বেগুনী ভেবেই কিনে নিয়ে যায়। ইফতারির অন্যতম আকর্ষণ ছোলা বুট তা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি। তবে এবার ছোলার দাম কম থাকলেও পেয়াজের দাম ৪০ টাকা কেজি হওয়ায় এই সুস্বাদু ইফতারি বুটের দাম কমেনি। পেয়াজু, আলুর চপ, বেগুনীও বিক্রি হচ্ছে ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা দরে। পুরাণবাজারের অধিকাংশ মানুষই ঘরে তৈরি ইফতারির সামগ্রীর উপর নির্ভরশীল। বাসা বাড়িতেই তারা তৈরি করে ইফতার। এছাড়াও খালের দক্ষিণ পাড়, রিফুজি ক্যাম্পসহ কিছু কিছু এলাকায় ইফতার সামগ্রী বিক্রি করতে দেখা গেলেও তুলনায় তা অনেক কম। প্রায় দোকানদারকেই দেখা যায় ইফতারির পরও তাদের ইফতার সামগ্রী নিয়ে বসে থাকতে। মিলকারখানায় কর্মরত অনেককেই দেখা যায় চিড়া বা শুকনো খাবার দিয়ে ইফতার করতে। আবার কেউ কেউ চায়ের দোকানে বুট মুড়ি দিয়েই সারেন ইফতার। তবে পুরাণবাজারের অধিকাংশ মানুষই বাজারের ইফতারের চেয়ে বাড়ির তৈরি ইফতারির উপর বেশি নির্ভরশীল। বাজারের তৈরি ইফতার সামগ্রী অনেক পরিবারই পছন্দ করেন না। তার কারণ হিসেবে ডিশ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের স্ত্রী আমেনা বেগম জানান, সারাদিন রোজা থাকায় বাসা-বাড়িতে সাংসারিক কাজের চাপ থাকে খুবই কম। বিকেলে সবাই মিলে ইফতার সামগ্রী বানাই। ততে বেশ মজা লাগে এবং অজানা পরিবেশে তৈরি ইফতারের চেয়ে ঘরে তৈরি ইফতার সামগ্রী বেশ নিরাপদ ও সুস্বাদু।