সাখাওয়াত হোসেন (মিথুন :
বেকারী যাতীয় খাদ্য কিংবা হোটেলের খাদ্য যাই বলি না কেন মূলত হাজীগঞ্জের মানুষ খাবারের নামে খাচ্ছে কি? যাই খাচ্ছে তা কি খাবারের আওতায় পড়ে? আবার সম্প্রতি হাজীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে বেকারী থেকে জরিমানা করলেও মূলত বন্ধ হচ্ছে কি? ঐ জাতীয় খাবার তৈরী কিংবা বিক্রয়? এমন প্রশ্ন হাজীগঞ্জের মানুষের। হাজীগঞ্জ বাজার ও উপজেলার হাট বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায় বেকারী জাতীয় সামগ্রীতে চলছে রঙ ও প্লেভার মিশানো খাবার তৈরির ধুম। সেই সাথে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত্ম থেকে আগত কলাতে মিশানো হচ্ছে জীবন ধ্বংসকারী বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ। সম্প্রতি হাজীগঞ্জ বাজারে ৬০/৭০ টাকা কেজি দরে এক ধরনের সলটেস বিস্কুট ভ্যানে করে ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে। এর উৎপাদন জেলার গন্ডির বাইরে হলেও এ ধরনের বিস্কুট কোথায়, কি ধরনের পরিবেশে কিংবা কি দিয়ে তৈরি হচ্ছে তা কারও বোধগম্য নয়। এর প্যাকেট জাত করার জন্য কোন ধরনের প্যাকেট না থাকার কারণে বি.এস.টি.আই অনুমোদন ও মেয়াদ উর্ত্তীণ কোন সিল বা প্রমাণাদি নেই। একটু মসমছে হওয়াতে গ্রাহক এ ধরনের বিস্কুট খোলা বাজার থেকে হরদমছে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। আবার হাজীগঞ্জে রয়েছে বেশ কয়েকটি বেকারী। যারা নিজেরাই বিস্কুট, পাউরুটি, চানাচুর সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন করছে। এর অনেকগুলোর গায়ে উৎপাদনের মেয়াদ থাকলেও বি.এস.টি.আই এর কোন অনুমোদনের সিল নেই। অনেক বেকারীতে দেখা যায় পুরাতন তৈল, খোলা বাজারের ডালডা ও নোংরা পরিবেশে বেকারী সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। আবার উপজেলার শহরের বাইরে বাজার গুলোতে প্রতি বাজারেই ২/১ করে বেকারী রয়েছে। যারা নিজেরা বিস্কুট ও পাউরুটি সমাগ্রী তৈরি করে বাজারে সরবরাহ করে আসছে। যাদের খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত করনের কোন ধরনের অনুমোদন নেই। অন্য দিকে প্রতিদিন হাজীগঞ্জে খাগড়াছড়ি থেকে কাচা কলা ২/৩ ট্রাক করে বিভিন্ন বাজারে নামানো হচ্ছে। এ সব কলা ট্রাক থেকে নামানোর সময় সম্পূর্ণ কাচা থাকে। আড়তদার কলা বিক্রেতারা ট্রাক থেকে কলা নামিয়ে গুদামের মধ্যে বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশিয়ে ৬/১০ ঘন্টার মধ্যে তা পাকিয়ে বাজারে বিক্রি করছে। যা জনস্বাস্থ্যে জন্য মরাত্মক হুমকি। প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টিতে এই ভেজাল দূরিকরণ সম্ভব হবে বলে সচেতন মহলের দাবি