প্রতিনিধি
হাজীগঞ্জে চোরা খোকনের কারণে গতকাল সকালে দেড় ঘণ্টা চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ও বাজার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ অন্যদের হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। অবরোধ চলাকালে সড়কের দু পাশে কয়েক শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার পৌর এলাকার টোরাগড় পল্লী বিদ্যুৎ নামক স্থানে।
এলাকাবাসী ও অন্যদের সূত্রে জানা যায়, টোরাগড় এলাকার ঘিলা বাড়ির মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে চোরা খোকনকে চুরি ডাকাতি বন্ধ, বাড়ির নারীদের ঘরে জোরপূর্বক প্রবেশ, বোরকা পরে বাড়িতে হাঁটাচলা, খারাপ মেয়ে নিয়ে বাড়িতে অবস্থানসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য বাড়ির লোকজন নিষেধ করে। এ ঘটনায় গত ১ অক্টোরব খোকনদের বাড়ির বিএনপি নেতা আবুল বাসার ওরফে ঘিলা বাসারকে চোরা খোকন চাপাতি দিয়ে প্রকাশ্যে কোপ দেয়। আবুল বাসারকে কোপানোর ঘটনায় একই দিন ঘিলা বাড়ির লোকজনসহ এলাকার লোকেরা চোরা খোকনকে গণপিটুনি দেয়। পিটুনির ঘটনায় চোরা খোকন হাজীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দেয়। ঐ অভিযোগে আবুল বাসারসহ ৮জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জনকে আসামী করা হয়। এই মামলার অজ্ঞাত আসামী হিসেবে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে পুলিশ ঘিলা বাড়ির আবদুল মমিনের ছেলে দুলাল (৩৫)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
একজন চোরের মামলার এজাহারে নাম না থাকা দুুলালকে আটক করার কারণে শনিবার সকালে টোরাগড় ঘিলা বাড়ির সামনে ও চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সদর দপ্তরের সামনে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এর পরেই এলাকাবাসী ও ঘিলা বাড়ির লোকেরা একত্রিত হয়ে আটককৃত দুলালকে ছেড়ে দেয়ার দাবিতে সকাল ১০টার দিকে মহাসড়ক অবরোধ শুরু করে। স্থানীয়রা মহাসড়কে বিদ্যুতের পিলার ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধে অংশ নেয়। পরে হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব অরুন, স্থানীয় কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, এসআই বিপ্লব সিংহ রায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করেন। এরপরই আটককৃত দুলালকে পুলিশ ছেড়ে দিলে ও দুলাল অবরোধস্থলে গিয়ে হাজির হলে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেয়।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার এসআই ও খোকনের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) হাবীব জানান, দুলালকে জিজ্ঞাসা করার জন্যে থানায় আনা হয়েছিলো। আর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুলালকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।