হাজীগঞ্জ : হাজীগঞ্জ ডাকাতিয়া নদীর দুই পাড়ে প্রায় শতাধিক বালু ব্যবসায়ী রমরমা ব্যাবসা চালিয়ে আসছে। কেউ লীজ নিয়ে, কেউবা ক্ষমতার দাপটে দখল করে নিয়েছে নদীর একাংশ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চাঁদপুর শহর থেকে শুরু করে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলা পর্যন্ত নদী দখলের মহোৎসবের চিত্র। সংশ্লি¬ষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ মহাসড়কের ডাকাতিয়া ব্রীজের দু’পাড় দখল করে নিয়েছে স্থানীয় বালু ব্যাবসায়ীরা।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও চাঁদপুর উপ-সহকারী প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে একাধিকবার দখল মুক্ত করতে নোটিশ করা হলেও কোন তোয়াক্কা করছেনা বালু ব্যাবসায়ীরা। ডাকাতিয়া নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ বালুর ঘাট দখল করে নিয়েছে নদীর কিছু অংশ।
বালু বহনকারী ট্রাক চলাচলে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়ক ব্যবহার করায় দ্রুত ভেঙ্গে যাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্থ্য হওয়াকে মূলকারণ হিসাবে দেখছেন সওজ বিভাগ। খবর নিয়ে জানাগেছে, এসব অবৈধ বালুর ব্যবসায়ীরা সরকারকে কোন ভ্যাট প্রদান না করে রীতিমত ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে কয়েক জনের নামে উচ্ছেদের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পরও তারা সেচ্ছায় না উঠলে আইনগতভাবে ঈদের পরপরই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাতে বালুর ট্রলার এসে ডাকাতিয়া ব্রীজের দক্ষিণ পার্শ্বের ফিলারে ক্ষয় দেখা দিয়েছে। একাধিক নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে এক বালু ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের বাপ-দাদার সম্পত্তির উপর ব্যবসা করে আসছি। উ
ল্লেখ্য দীর্ঘ ১ যুগ ধরে ডাকাতিয়া নদীর দু’পাশে অবৈধ বালুর ঘাট গড়ে উঠেছে। এদিকে এসব অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা ভ্যাট বীহিন ব্যবসা চালিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য সড়কের যানবাহন ও যাত্রীরা চলাচলে সব সময় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব অবৈধ বালু পারাপারের ঘাট উচ্ছেদ না হলে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই সড়কগুলোর বেহাল অবস্থায় পরিণত হবে। সওজ উপ-সহকারী প্রকৌশলী কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, রাজনৈতিক পেশী শক্তির কারণে অবৈধ দখল মুক্ত হচ্ছে না।
তাছাড়া থানা পুলিশ তদন্ত গেলে পকেট ভারী করে আসে বলেও এ কর্মকর্তার অভিযোগ। জেলা প্রশাসকের লিজ নিয়ে ব্যবসা করছেন-এমন প্রশ্নের জবাব তিনি নাখোচ করে বলেন, আমাদের জানামতে কাউকেই প্রশাসন কোন লীজ দেয়নি বরং তারা জেলা প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আফরোজ মুঠোফোনে বলেন- খুব শীঘ্রই অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।