
কারাগারে পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন হাজীগঞ্জ পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজের ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শাখার টাইপ সহকারী কাম শিক্ষক আব্দুল মালেক মিয়াজী ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক খন্দকার আরিফ। খন্দকার আরিফ চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক চাঁদপুর বার্তা পত্রিকার হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি।
হাজীগঞ্জ থানা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার ল্যাব সহকারী কাম শিক্ষক শাহনাজ আক্তার তার স্বামী আব্দুল মালেক মিয়াজীর বিরুদ্ধে গত ৯ আগস্ট যৌতুক নিরোধ ও নারী নির্যাতন আইনের ধারায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালত থেকে মালেক মিয়াজীকে আদালতে উপস্থিত হয়ে জবাব দেয়ার জন্য সমন জারি করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার মালেক মিয়াজী আদালতে উপস্থিত হয়ে সমন নোটিসের জবাব দাখিল করেন। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট শাহনাজ আক্তারের বক্তব্য শুনেন। মালেক মিয়াজীর বড় ভাই আব্দুল খালেক মিয়াজী জানান, ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট শাহনাজ তার ভাই মালেক মিয়াজীর বিরুদ্ধে তাকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ করে বক্তব্য দেন। তাঁর বক্তব্য শুনে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার শাহনাজের দায়ের করা আরেকটি মামলায় সাংবাদিক খন্দকার আরিফ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তা না মঞ্জুর করেন।
হাজীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ শামছুজ্জামান জানান, ওই শিক্ষক শিক্ষিকার দাম্পত্য সমস্যা নিয়ে খন্দকার আরিফ ২৩ আগস্ট একটি অনলাইন ও ২৪ আগস্ট চাঁদপুরের স্থানীয় একটি পত্রিকায় দুটি পৃথক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে শাহনাজ আক্তার ১৯ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক আরিফের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার জামিন আবেদনের জন্য আদালতে গেলে আদালত জামিন না দিয়ে তাকে জেলহাজতে পাঠান।
মামলা হওয়ার পর খন্দকার আরিফ এ প্রতিবেদককে বলেছিলেন, চাঁদা দাবির অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই মহিলা প্রতিহিংসায় পরায়ন হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও থানার এসআই মোঃ শামছুজ্জামান জানান, সাংবাদিক আরিফ গ্রেপ্তারের খবর পেয়েছি। তবে শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলাটি থানায় পাঠানো হয়নি। সে জন্য শিক্ষক গ্রেপ্তারের খবরটি আমাদের জানা নেই।