প্রতিনিধি
হাজীগঞ্জে একই সম্পত্তি ২টি পরিবার দাবি করায় ঐ ২টি সংখ্যালঘু পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ৭জন আহত হয়েছে। ওই সম্পত্তি গতকাল একটি পক্ষ দখলে নেয়ার চেষ্টার ঘটনায় এ সংঘর্ষ ঘটে। উক্ত সম্পত্তির পৈত্রিক দাবিদার রামপুর চৌধুরী বাড়ির সূর্য নারায়ণ রায় চৌধুরীর ছেলে বিশ্বনাথ রায় চৌধুরী আর একই সম্পত্তির ক্রয় সূত্রে মালিক দাবিদার একই বাড়ির নিতাই চন্দ্র দেবনাথ। গতকাল বৃহস্পতিবার এই দু’পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রামপুর বাজারের পাশের চৌধুরী বাড়িতে। সংঘর্ষে বিশ্বনাথের পক্ষে আহতরা হলেন : হাজীগঞ্জ বাজার এলাকার সোহেল মিয়া, স্থানীয় অলিউল্লার ছেলে কবির, আমির হোসেনের ছেলে মোস্তফা, সিদ্দিক মিয়ার ছেলে রফিক এবং নিতাই চন্দ্রের পক্ষে ফজলুল হকের ছেলে সোহাগ, আঃ সাত্তারের ছেলে দুলাল ও নিতাই দেবনাথ। আর এ নিয়ে উভয় পক্ষ মামলা দায়ের করলে আজ শুক্রবার হাজীগঞ্জ থানায় বসা হবে বলে জানা গেছে।
মৃত সূর্য নারায়ণ রায় চৌধুরীর ছেলে বিশ্বনাথ রায় চৌধুরী জানান, তিনি পেশায় একজন চা দোকানের কর্মচারী। স্থানীয় রামপুর বাজারের একটি চা দোকানে কাজ করে ৮০ বছর বয়স্ক মাকে নিয়ে তিনি পৈত্রিক বাড়িতে বসবাস করছেন। বাবা মারা গেছেন স্বাধীনের ২ বছর পরে। তাও মায়ের কাছ থেকে শুনেছেন। বাবাকে দেখলেও বাবার স্মৃতি মনে নেই। সেই বাবার রেখে যাওয়া ২ একর ৫৬ শতাংশ সম্পত্তির একক মালিকানা আমি নিজে। আমার বাড়ির লোক কিন্তু আমার রক্তের সম্পর্কের কেউ নন এমন একজন হলেন মৃত নকুলেশ্বর রায় চৌধুরীর ছেলে নারায়ণ রায় চৌধুরী। বহু বছর আগে তার বিক্রি করা সম্পত্তির মধ্যে ৮ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করেন আমাদের পাশের এলাকার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নিতাই চন্দ্র দেবনাথ। এই নিতাই চন্দ্র এখন আমার সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করে মাস্তান বাহিনী দিয়ে দখলে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
অপরদিকে নিতাই চন্দ্র দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি এ বাড়িতে আজ থেকে ২৪ বছর পূর্বে ৮ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করি। বিক্রেতা আমাকে তা বুঝিয়ে দিলেও আমি ভোগ করছি ৫ শতাংশ সম্পত্তি। বাকি ৩ শতাংশ জমি দখলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তারা আমার উপর আক্রমণ চালায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু নসর মিন্টু পাটোয়ারী জানান, আগে আমরা উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখি তার পর দেখবো কি করা যায়।