শওকত আলী:
হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ধেররা-বিলওয়াই গ্রামে মোবাশ্বেরা বেগম (৫০) নামের এক গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গৃহবধুর লাশ হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
স্বামী ডাঃ আবুল কাশেম জানান, আমার স্ত্রীকে কে বা কাহারা ধারলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। বাড়ীতে আমার স্ত্রী একা ছিল। দুপুর তিনটার দিকে বাসায় ভাত খেতে এসে দেখি ঘর এলোমেলো। স্ত্রীকে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুজির পর পাশ্ববর্তী ডোবায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখি।
ঘরের কোন কিছু খোয়া জায়নি উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা স্ত্রী মোবাশ্বেরা ঘুম থেকে উঠে। পরে হাজীগঞ্জ বাজারে তার চেম্বারে ১১ টায় যায়। সেখান থেকে পরে তৈলসহ রান্নার সামগ্রী ক্রয় করে বাসায় চলে আসে। ওইসময় বাড়ীতে আর কেউ ছিল না।
তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জননী এই মোবাশ্বেরা। তার ছেলে সাখাওয়াত হোসেন জুলাস জানান, আমাদের কারো সাথে পূর্ব শত্রুতা নেই। মাকে হারিয়ে সে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
কান্নারত অবস্থায় মেয়ে তানিয়া বলেন, সকালে মা আমাদের বাসায় গিয়েছিল। মাকে কে মারলো। আমরা তার বিচার চাই।
শ্বাশুড়ির মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বড় মেয়ের জামাই আবদুল হান্নান। তিনি বলেন, পারিবারিকভাবে কোন কলহ ছিল না। শ্বশুর-শ্বাশুড়ি এই বাড়ীতে একাই থাকতো। কারো সাথে আমাদের শত্রুতা নেই।
হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, নিহত মোবাশ্বেরার কানের নিচে, পেটে ও ঘাড়ে ধারােেলা অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বটি-দা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই বটি-দা,তে রক্তের দাগ নেই।
হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহআলম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন হত্যাকান্ডের কারণ জানা যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।