সাখাওয়াত হোসেন মিথুন
হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে র্দীঘদিন ধরে সম্মনয় হীনতায় আন্তকলহ বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দদ্ধ ও কলহ নিরসন করার চেষ্টা করতে গিয়ে বিপরীতে আরো বেশী দদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষুব্দ হয়ে অফিস সময় যথারীতি কার্যালয়ে অনুপস্থিত না থাকায় ৮ টি সরকারী বিভাগের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে ৪টি সরকারী কার্যালয়ের তালা খুলে দিয়ে ৪টি কার্যালয়ে তালা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
সরকারী/শায়ত্ব-শাসিত দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ৯টা থেকে ৯.৪০ মিনিটের মধ্যে অফিস কক্ষে অবস্থানের আবশ্যকতা নিশ্চিত করে। ২০০৩ সালের ২৩ জুন মন্ত্রী পরিষদের সচিব সাদত হুসাইন স্বাক্ষরিত ও ২০০৭ সালের ২৯ জানুয়ারী মন্ত্রী পরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার স্বাক্ষরিত পরিপত্রের আলোকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ এমনার হোসেন চলতি মাসের ১৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা সরকারী সকল বিভাগের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চিঠি দিয়ে তা অনুস্বরণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নির্দেশ প্রধানের পর গতকাল ২৩ সেপ্টেম্বর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে কয়েক জন কর্মকর্তা যথাসময়ে উপস্থিত থাকতে ব্যর্থ হয়েছেন। একজন কর্মকর্তা ছুটি ছাড়াই সারা দিন অনুপস্থিত থাকেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৯.২০ মিনিট এর সময় কার্যালয়ে এসে উপস্থিত হয়। উপজেলা প্রকৌশলী আশ্রাফ জামিল ১১ টার পরে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তা সারা দিনেই অনুপস্থিত থাকেন। ওই কার্যালয়ের ব্যাটেনারি সার্জন ডাঃ মুকবুল হোসেন বেলা ৯.৩০০ মিনিটি উপস্থিত হয়। গতকাল সারাদেশ ব্যাপী সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহব্বান করা হয়েছিল। প্রতিটি হরতালেই সরকার বিরোধী হয়। হরতালের সময় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যান্য দিনের মতোই ওইদিন যথা সময় উপস্থিত থাকার জন্য মৌখিক নির্দেশনা রয়েছে।
এভাবেই প্রতিনিয়ত ওইসকল কর্মকর্তারা নিয়মিত অফিসে আসছেন না। এ বিষয়ে শীঘ্রই উর্ধ্বতন প্রশাসন ব্যবস্থা নিবেন বলে সচেতন মহলের দাবী।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৯ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।