হাজীগঞ্জ:
হাজীগঞ্জ কমার্স কলেজ কোড পাওয়ার আগেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। এতে করে এখানে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কলেজ কোড উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দিয়ে থাকে।
জানা যায়, বেসরকারি পর্যায়ে হাজীগঞ্জে এ বছর চালু হয়েছে হাজীগঞ্জ কমার্স কলেজ নামে একটি কলেজ। হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে অবস্থিত মেঘনা বাসস্টান্ড সংলগ্ন একটি ফ্ল্যাট বাড়িকে কলেজের ক্যাম্পাস হিসেবে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। ভর্তি চলিতেছে/জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের বিশেষ ছাড়ে ভর্তি, আসন সংখ্যা সীমিতসহ নানা ধরনের সুবিধা সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুনে ইতিমধ্যে সয়লাব হয়ে উঠেছে হাজীগঞ্জ উপজেলা শহর ও তৎসংলগ্ন এলাকা। এছাড়া জেলা শহর ও এই কলেজে ভর্তি বিজ্ঞপ্তির পোস্টারে ছেয়ে গেছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, উক্ত কলেজটি গত মাসের শেষের দিকে শিৰা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পায়। কিন্তু কোনো কলেজ করার ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলেই হয় না। এ ৰেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমতি দেয়ার পরে তা সংশ্লিষ্ট বোর্ড কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে হয়। তখন মন্ত্রণালয়ের কপি হাতে পাওয়ার পরে শিক্ষা বোর্ড উক্ত কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে রিপোর্ট জমা দেয়। এ ক্ষেত্রে বোর্ড কর্তৃপক্ষের সকল নিয়ম-কানুন সঠিক থাকলে তবেই বোর্ড থেকে কলেজ কোড দেয়া হয়। হাজীগঞ্জ কমার্স কলেজ এই কলেজ কোর্ডটি পাওয়ার পূর্বেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে দেয়।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ কমার্স কলেজের অফিস কর্মকর্তা সালাউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমরা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছি আরো আগে। বোর্ড কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে কলেজ পরিদর্শন করে গেছে। এ সপ্তাহের মধ্যে কলেজ কোড এসে পড়বে। তাছাড়া যে সকল শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে আমাদের এখানে ভর্তি হতে এসেছে তাদের কাউকে এখনো আমরা ভর্তি করিনি। সাফ কথা আমরা এখনো একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি করিনি। তবে ভর্তির অনুমতির আগেই এভাবে ভর্তি বিজ্ঞপ্তির প্রচারণা চালানোকে প্রতারণা হিসেবেই দেখছে সচেতন মহল।